রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

ফিলিস্তিনি কবি নজওয়ান দারবিশ-এর কবিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  নজওয়ান দারবিশ ফিলিস্তিনের এবং আরবি ভাষার তরুণ কবিদের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্ম জেরুসালেমে, ১৯৭৮ সালে।নতুন প্রজন্মের সবচেয়ে অগ্রসর আরবি ভাষার কবি হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ফিলিস্তিনে সংস্কৃতিবিষয়ক দুটি কাগজ সম্পাদনা করেছেন।

২০০৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত লেবাননের সংবাদপত্র আল-আকবর-এ সংস্কৃতি সমালোচক হিসেবে কাজ করেন। ফিলিস্তিন সাহিত্য উৎসবের সংগঠক নজওয়ান এখন এমন একটি নিখিল আরব সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত, যেখানে তিনি কাজ করবেন শিল্প ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান সম্পাদক হিসেবে। নজওয়ান বর্তমানে জেরুসালেমে বসবাস করছেন। নিচে তার কয়েকটি কবিতা উল্লেখ করা হল। অনুবাদ করেছেন আনিসুল হক।

‘সংরক্ষিত’
একবার আমি বসতে গিয়েছিলাম
আশা নামের খালি আসনটিতে,
কিন্তু ‘সংরক্ষিত’ কথাটা সেখানে হাঁটুমুড়ে বসে ছিল
একটা হায়েনার মতো
(আমি সেখানে বসিনি, কেউ বসেনি সেখানে)
আশার আসনগুলো সব সময়েই থাকে ‘সংরক্ষিত’

দুঃস্বপ্নের গাড়ি
আমি দেখলাম তারা আমার চাচিদের থলেয় ভরছে
ব্যাগের কোণা বেয়ে ঝরছে তাদের উষ্ণ রক্ত
(কিন্তু আমার কোনো চাচি নেই)
আমি জানি তারা আমার তিন বছরের মেয়ে নাতাশাকে মেরে ফেলেছে
(কিন্তু আমার কোনো মেয়ে নেই)
আমাকে বলা হলো তারা আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সিঁড়ি দিয়ে ছেঁচড়ে টেনে নিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখেছে
(কিন্তু আমার বিয়ে হয়নি)
তারা বুটের নিচে যা মাড়াচ্ছে তা নিশ্চয়ই আমার চশমা
(কিন্তু আমি চশমা পরি না)
............
আমি আমার বাবা-মার বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম আর আমি স্বপ্ন দেখছিলাম ওর বাড়িটা
যখন ঘুম ভাঙল
আমি দেখলাম আমার ভাইয়েরা
ঝুলন্ত
পুনরুত্থানের গির্জার ছাদ থেকে
সমব্যথী হয়ে প্রভু বললেন, এ আমার নিজেরই যাতনা
আমি ওই ঝুলন্ত মানুষটির অহংকারকে হেঁকে বললাম: ‘আমার মতে, এ আমাদের...’
....
বেদনা প্রতিভাত করে সব কিছু,
আর আমি একে ভালোবাসি দুঃস্বপ্নের চেয়ে বেশি
....
আমি উত্তরে পালিয়ে যাব না, ও প্রভু
আমাকে গণ্য করো না তাদের মধ্যে যারা ঠাঁই খুঁজে নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে
....
আমরা এই প্রতিবেদন পেশ করতে থাকব পরবর্তীকালেও
আমাকে এখন ঘুমুতে যেতে হবে।
সাবরা আর শাতিলাগামী দুঃস্বপ্নের গাড়ি আমি মিস করতে চাই না

মেঘ
আমার কোনো ভাই নেই যে আকাশের বোঝাটা সরাবে আমার পিঠ থেকে
নেই কোনো কন্যা যে আমার বৃক্ষগুলোকে উপশম দেবে
আমার কোনো নাতি নেই যে আমার সরোবরগুলোর উত্তরাধিকারী হবে
নেই কোনো শিখা যে আমার অগ্নিকোণকে প্রজ্বলিত করবে
নেই কোনো সহূদয় স্বজন যে জল দেবে নীল ফুলের গোড়ায়
কিছুই নেই আমার কেবল ওই গৃহহারা মেঘ দল ছাড়া
যারা একদিন হাঁটবে আমার শবযাত্রায়


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ