বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি আইন চালু হলে অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে হবে না: মুজিবুর রহমান পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যৌন হয়রানি: নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন ৯ জেলায় জনবল নিয়োগ দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ  ‘আমেরিকা কিছুটা সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে’, জোহরান মামদানির জয়ে ট্রাম্পের প্রথম প্রতিক্রিয়া চব্বিশের যুবশক্তিকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই মাসনা মাদরাসার  বার্ষিক মাহফিল—আত্মশুদ্ধি ও রূহানিয়্যাতের মহামিলন সৌদিতে সভা-সমাবেশ নিয়ে কঠোর সতর্কতা বাংলাদেশ দূতাবাসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দল স্মারকলিপি দেবে আজ প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল মালদ্বীপ

এবার দলীয় কর্মীকেই পিটিয়ে রক্তাক্ত করল ইবি ছাত্রলীগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বুধবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবনের সামনে আইন চত্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দলের এক কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মারধরের স্বীকার ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আশিক আরাফাত। সে বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও সাধারন সম্পাদক গ্রুপের কর্মী। ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা তাকে বেধড়প পিটিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত সেই ছাত্রলীগ কর্মী। মারধরের পরে তার বন্ধুরা আহত অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২টার আশিক আরাফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবন থেকে আইন চত্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী রিজভী আহমেদ, জুলকার নাইম, লিংকন আহমেদ, গোলাম মোস্তফা, রাব্বি, বিল্লাল, বহিরাগত নয়নসহ ১০-১২ জন আশিকের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে। তারা আশিককে রড ও লাঠিশোটা দিয়ে উপর্যপুরি মারতে থাকে।

এক পর্যায়ে আশিক রাস্তায় পড়ে গেলে তারা চলে যায়। পরে আশিকের বন্ধুরা আহত অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করে। হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের অনুসারি কর্মী বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এদিকে আহত আশিক মারধরের ঘটনায় লোক-প্রশাসন বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগ আশিক উল্লেখ করেন, আমি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কোন কথা ছাড়াই বহিরাগত নয়ন, লোক প্রশাসনের বিল্লাল, ইংরেজি বিভাগের রিজভী, সালাম, বাংলার মোস্তফা, অর্থনীতির লিংকন, জুয়েল আমাকে রড দিয়ে মারধর করে। আমাকে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

আমি বিশ্ববিদ্যারয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

 

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ