শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১২ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৫ রবিউস সানি ১৪৪৭


‘জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া জনতা ঘরে ফিরে যাবে না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অবিলম্বে জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শাখায় ব্যাপক জনসমাগমে এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

এসব সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া এ দেশের জনতা ঘরে ফিরে যাবে না। জনগণের ন্যায্য দাবি অগ্রাহ্য করে ক্ষমতায় আসার সব কূটকৌশল ব্যর্থ হবে। জনগণের প্রাণের দাবিকে উপেক্ষা করার পরিণাম ভয়াবহ হবে। জুলাই সনদের বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে দেশে যে কোনো অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হলে এর দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই বহন করতে হবে।

তারা অভিযোগ করেন, দেশে অবাধ রাজনৈতিক কার্যক্রমকে স্তব্ধ করার জন্য পেশিশক্তি চোখ রাঙাচ্ছে, ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা উস্কানি মূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের আনুকূল্য পেতে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকেও জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে কথা বলা হচ্ছে। এভাবে দেশকে ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, আপনার দল বা সংগঠন যত বড়ই হোক, জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে টিকতে পারবেন না। ভারতীয় আশীর্বাদ নিয়ে রাজনীতি এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নেবেনা— রাজাকার, মৌলবাদী এসব ট্যাগ অবিলম্বে বন্ধ করুন- হাসিনার পরিণতি থেকে অন্তত শিক্ষা নিন। অন্যথায় হাসিনার প্রতিবেশী হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য সুদৃঢ় রাখতে চাই। কোনো দলের চানক্যনীতির কারণে যদি সেই ঐক্য ভেঙে যায়, তবে তার দায়ভার সেই দলকেই বহন করতে হবে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই জনগণের ন্যায্য দাবি উত্থাপন করে আসছে। জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি আজ জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা— এসব দাবিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এখন সময় এসেছে এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের। অন্যথায় এ দেশের কোটি জনতা রাজপথে অনড় থাকবে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাওলানা শাহ আকরাম আলী, নায়েবে আমীর মাওলানা হেলালুদ্দীন ও যুগ্ম মহাসচিব মুফতী শরাফত হুসাইনের নেতৃত্বে ফরিদপুর জেলায়, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে গাজীপুর মহানগর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে ফেনী, দোহারে ঢাকা জেলা দক্ষিন শাখা, সাভারে ঢাকা জেলা উত্তর শাখা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম,  কক্সবাজার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহসিনুল হাসানের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নড়াইল, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলা, জামালপুর, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলা, দিনাজপুর, নাটোর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ভোলা জেলা, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ জেলা, পঞ্চগড়, নরসিংদী জেলাসহ প্রায় সব জেলায় এবং কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরীর নেতৃত্বে জগন্নাথপুর, রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, নান্দাইল, ভালুকা, মুক্তগাছা, বিশ্বনাথ, ভৈরব, করিমগঞ্জ, নান্দাইল, কালিগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, কাশিমপুর, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, বাহুবল, দৌলতখান, লালমোহন, মিরসরাই, নড়িয়া, বিজয়নগর, বড়লেখা, শিবচর, শিবপুর, মাধবদী, রায়পুরা, কেন্দুয়া, পুর্বধলা, আটপাড়া, গৌরনদী, চাটমোহর, ধনবাড়ি, বাঞ্ছারামপুর, পলাশবাড়ী, ৭নং ওয়ার্ড সিলেট মহানগর, বদরগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, গোলাপগঞ্জ, জাজিরা, বিয়ানীবাজার, গঙ্গাছড়া, তারাগঞ্জ, চৌহালী, সিরাজগঞ্জ সদর, মধুখালী, দোয়ারা, শান্তিগঞ্জসহ শতাধিক উপজেলায় কর্মসূচি পালিত হয়।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ