মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

চাঁদাবাজি: জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৪

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চাঁদা না দেওয়ায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর বাজারের ১০টি দোকানঘরে তালা লাগিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গতকাল সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ও আহম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন (৪৫), তাঁর ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), স্থানীয় বিএনপি কর্মী হায়দার আলী (৪৫) ও তাঁর বাবা মুজিবর রহমান (৭০)।

বড়াইগ্রাম থানা সূত্র জানায়, উপজেলার নওপাড়া গ্রামের কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেন আহম্মদপুর বাজারে জমি কিনে ১০টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। তাদের নামে এসএ এবং আরএস খতিয়ান আছে। প্রায় ৭০ বছর ধরে তাঁরা ওই জমি ভোগদখলে আছেন এবং নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রুহুল আমিন, আজিমুদ্দিন, হায়দার আলী, মুজিবর রহমানসহ ৪০-৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে বাজারে গিয়ে দোকানপ্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার জন্য কোরবান আলীদের হুমকি দেন। তারা রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ১০টি দোকানঘরে তালা লাগিয়ে দখলে নেন। দোকান না ছাড়লে ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা যৌথভাবে সন্ধ্যায় বাজারে অভিযান চালান। এ সময় দোকানগুলোর তালা ভেঙে সেগুলো প্রকৃত মালিকদের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং চার অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন বলেন, ‘উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আবদুল মালেক আমাদের প্রতি দোকান বাবদ মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা ধার্য করে দেন। আমরা তাতে রাজি হইনি। কারণ, আমরা এসব দোকানের জমি ৭০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁরা আমাদের দোকানগুলোতে তালা দিয়ে দেন। ঘটনাটি আমরা পুলিশ–সেনাসদস্যদের জানালে তাঁরা দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে আমাদের দোকানগুলো উদ্ধার করে দিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

তবে গ্রেপ্তারের আগে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘দোকানের জমির মালিক আমরা। দীর্ঘদিন ওই জমি বেহাত ছিল। এখন আমরা দখলে গেছি। ভাড়া দাবি করেছি। তাই চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।’ তবে দোকানে তালা লাগানো ঠিক হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ