শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪ ।। ২০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫


কথিত ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ ও আমাদের সমাজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাহিদুল ইছলাম:।। বাংলায় প্রবাদ আছে একমাঘে শীত যায় না, এক আষাঢ়ে বর্ষা যায় না। অনুরূপভাবে ইংরেজি মাস সমূহের একটি মাস হচ্ছে ফেব্রুয়ারি। চলতি মাসও ফেব্রুয়ারি।

ফেব্রুয়ারি মাস অন্যান্য বছর যেমন অতিবাহিত হয়েছে, তেমনি বর্তমানে চলছে, ভবিষ্যতেও আসবে। এই মাসের একটি তারিখ হল ১৪ ফেব্রুয়ারি। আমার জানা মতে উক্ত দিবসকে "বিশ্ব ভালোবাসা দিবস" বলা হয়। প্রশ্ন হলো: কেন উত্তর দিবসটির নাম ভালোবাসা দিবস ? তাহলে কিছু জেনে নেওয়া যাক।

আমার জানামতে দিবসটিকে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ বলা হলেও আমি তা বলতে পারি না। কারণ জানতে হলে আগে বুঝতে হবে যে, ভালোবাসা কতো প্রকার ও কি কি? আমার জানামতে ভালোবাসা তিন প্রকার। যথা: ১/ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা। ২/ কোন মানুষ রক্তের সম্পর্ক/এগানা কাউকে ভালোবাসা। ৩/ কোন মানুষ রক্তের সম্পর্ক ছাড়া/বেগানা কাউকে ভালোবাসা।

আমি মনে করি 1 নং তথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে বিন্দুমাত্র ভালোবাসা যার থাকবে; জান্নাতে যাবে ইন শা' আল্লাহ।

দ্বিতীয়ত কোন মানুষ রক্তের সম্পর্ক/এগানা কাউকে ভালোবাসা। যেমন: স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা, মা-বাবা, ভাই-বোন এর ভালোবাসা, এগানা কোন মহিলা, ওস্তাদ-শাগরেদের ভালোবাসা ও বন্ধু-বান্ধবের ভালোবাসা। উক্ত ভালোবাসা সমূহ আল্লাহর ওয়াস্তে/জন্য হয়ে থাকলে, হালাল ভালোবাসা যা জান্নাতে যাওয়ার কারণ হয়ে থাকে।

তৃতীয়ত: কোন মানুষ রক্তের সম্পর্ক ছাড়া/বেগানা কোন পুরুষ বা মহিলাকে ভালোবাসা। এগুলোই অবৈধ ভালোবাসা। এমন অবৈধ ভালোবাসা নিঃসন্দেহে নাজায়েজ ও জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হয়। যে কাজ জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হয় তা ভালোবাসা হয় কিভাবে? এজন্যই আমি উক্ত দিবসটিকে "বিশ্ব ভালবাসা দিবস" বানান "বিশ্ব অশ্লীলতা দিবস" বলে আখ্যা দিতে চাই। কারণ এই দিবসটিতে যে/যারা অবৈধ কার্যকলাপ করে/করবে; ওরা কুকুরও চেয়েও নিকৃষ্ট বলে আমি মনে করি। কুকুর কুকুরনীর সাথে যা করে সামান্য হলেও আড়ালে গিয়ে করে।

পক্ষান্তরে এরা এমন নর পশু যে/যারা রাস্তা-ঘাটে মানুষের সামনেই করে থাকে। উক্ত "অশ্লীলতা দিবসে" কেউ অবৈধভাবে গর্ভবতী হয়, কেউ তালাকপ্রাপ্ত হয়, কেউ জেনাকারি/জেনাকারিনী হয়, কেউ মা-বাবার ইজ্জত ভবিষ্যৎ করে দেয়, কেউবা আবার আরো কত কিছুর শিকার হয়। সবতো আর লিখে শেষ করা সম্ভব না। আর নাপাক শরীর নিয়ে মা-বাবার সামনে উপস্থিত, স্বামীর সামনে উপস্থিত হয়। ছিঃ ছিঃ লজ্জা! লজ্জা ! নাউজুবিল্লাহ। আর এ কারণেই এ দিবসটিকে "বিশ্ব অশ্লীলতা/ কুকুর কুকুরনি" দিবস বলে আখ্যা দিতে চাই।

পরিশেষে: সকল মা ও বাবাদের বলব যে, উক্ত দিবসটিতে আপনার স্নেহের সন্তানকে ঘরেই আবদ্ধ রাখুন। আপনার সন্তান হয়তো বা বিভিন্ন প্ল্যান করে রেখেছে উক্ত দিবসটির জন্য। কিন্তু আপনারা সত্যি কারের মা-বাবা হয়ে থাকলে অবশ্যই সন্তানকে ঘরে আবদ্ধ রাখুন। ও দূরে অবস্থিত স্বামীরা! নিজেদের স্ত্রীদের হেফাজতের/নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রত্যেক স্বামীর। আল্লাহ সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। এমন নোংরামি ও অশ্লীলতা থেকে সকলকে হেফাজত করুন। আমীন!

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ