বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

মুখে দুর্গন্ধ যে রোগের লক্ষণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দেয়। তবে তা সাধারণ ভেবে অনেকেই ভুল করেন। ডায়াবেটিসের লক্ষণ কিন্তু হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে প্রথমে তা টের পাওয়া যায় না। তবে কিছু লক্ষণ আছে যার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থাতেই ডায়াবেটিস শনাক্ত করা হয়।

যেমন- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, সব সময় পানি পিপাসা পাওয়া, জিভ শুকিয়ে আসা, চোখে ঝাপসা দেখা, ওজন কমে যাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতার মতো কিছু উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়া চিকিৎসকরা বলছেন, দুর্গন্ধযুক্ত নিশ্বাসও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে মুখের চারপাশের অংশে তার প্রভাব পড়ে। নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হ্যালিটোসিস’।

মুখে দুর্গন্ধ যে রোগের লক্ষণ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি, হৃদযন্ত্রসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ায় বিধিনিষেধ, নিয়ম করে শরীরচর্চার মাধ্যমে কিন্তু সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধজনিত সমস্যা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলোকে ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’বলা হয়।

রক্তে ইনসুলিনের অভাবে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে শরীর শর্করা বিপাকের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না। ফলে শরীরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা শুরু করে। ফলে হিসাবে শরীরে ‘কিটোন ব়ডি’ তৈরি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫০-৩০০ এর বেশি হলেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ