আওয়ার ইসলাম: গর্ভবতীর অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার বন্ধে একমাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সমন্বয়ে কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ কমিটিকে ছয়মাসের মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করে আদালতে জমা দিতে হবে। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বেঞ্চ।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গর্ভবতী নারীর সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে সেইভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের হার ৮৩ শতাংশের মতো।
সরকারি হাসপাতালে এ হার ৩৫ শতাংশ। এমন অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধের নীতিমালা চেয়ে রিট করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট।
রিটের শুনানিতে আজ রোববার হাইকোর্ট সিজারের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানায়। আদালত বলেছে, নীতিমালা প্রণয়ন ও সচেতনতা বাড়লে এ অবস্থা কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব। পরে আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়। এই কমিটি নীতিমালা তৈরির জন্য কাজ করবে।
অপ্রয়োজনীয় সিজার কেন- বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছে আদালত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ গাইনোলজিক্যাল সোসাইটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
-এটি