বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ১১ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাবার বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ! খালেদা জিয়ার শোক বইতে যা লিখলেন ইবনে শাইখুল হাদিস খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসছেন যারা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিক শোক জানালেন শায়েখে চরমোনাই ‘খালেদা জিয়ার আগে মারা যাওয়ার দাবিটি গুজব, রাতেও তিনি ডায়ালাইসিস পেয়েছেন’ ডিসেম্বরের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩ বিলিয়ন ডলার পুলিশের ওপর হামলা মামলায় ভোলায় আ.লীগের দুই নেতা আটক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বেফাকের কার্যক্রম বন্ধ খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোক বইয়ে ২৮ দেশের কূটনীতিকের স্বাক্ষর বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের শোক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার বলছে বাংলাদেশের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এক পায়ে খাড়া।

বুধবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। তারা আমাদের বন্ধু। তাদের নিয়েই নিয়মের মধ্যে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া দরকার। কিন্তু এ রকম ডাহা মিথ্যা আমরা কেমন করে কতো হজম করতে পারি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা ফিরে যাক, এটাই আমরা চেয়েছি। বরং মিয়ানমার বারবার কথা দিয়েও কথা রাখছে না। আমরা তাদের সঙ্গে অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছি। গত বছরের জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ছিল। দুই বছরের মধ্যে এটা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হয়নি।

তারপরে বলা হলো, ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রক্রিয়া শুরু করবে। সেটাও হয়নি। কিছুদিন আগে মিয়ানমারে চতুর্থ যৌথ সম্মেলনে গেলাম, তখন আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম। বোধ হয় প্রক্রিয়াটা শুরু হলো। কিন্তু সেটাও হয়নি।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে কূটনীতিকদের সহায়তা চান তিনি।

ব্রিফিংয়ে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, ভারত, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রাজিল, ফিলিস্তিন প্রভৃতি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে দেশটি থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশে অবস্থান নেয় আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গা। মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দেয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ