মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ পৌষ ১৪৩২ ।। ১০ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
শেষ মুহূর্তে ১৫ আসনে প্রার্থী বদল বিএনপির হাসনাত আব্দুল্লাহ'র সংসদীয় আসন ছেড়ে দিলেন জামায়াতের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে টানাপোড়েন, ২৭২ আসনে মনোনয়ন দাখিল করল ইসলামী আন্দোলন মনোনয়নপত্র জমার সময় বাড়ছে কিনা, জানালেন ইসি সচিব কোটিপতি জামায়াত আমির, আছে নগদ ৬০ লাখ টাকা-ডুপ্লেক্স বাড়ি দুই আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন ইবনে শাইখুল হাদিস কুমিল্লা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কায়কোবাদ সুনামগঞ্জ-২ আসনে ভোটের লড়াইয়ে জমিয়ত নেতা ড. মাওলানা শোয়াইব আহমদ সিলেট-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু ইসলামী ঐক্যজোটের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিতে গণপদত্যাগ

স্কুলে শিক্ষার্থীদের যৌনশিক্ষা: পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দেশের সাড়ে তিনশ’ স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এক সাথে বসিয়ে যৌনশিক্ষা দিয়ে লজ্জা, নৈতিকতাবোধ, পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লজ্জাহীন করে ভোগবাদী বানাতে চায়।

আজ বিকেলে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এসব কথা বলেন।

মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে মুসলিম জাতিসত্ত্বার পরিচয় মুছে ফেলতে চায়। পাশ্চাত্যের উলঙ্গ সংস্কৃতি আমদানী করে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা চালু করে দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মুল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সাম্রাজ্যবাদী পাশ্চাত্যের কিছু এ দেশিয় গোলাম সর্বদা এ কাজে আমাদের তরুণ-তরুণীদেরকে ব্যবহার করছে। তাদের টার্গেট কোমলমতি ছেলে-মেয়ে ও যুব সমাজের নৈতিক চরিত্র ধ্বংস করে দিতে পারলেই মুসলমানিত্ব আর বাকী থাকবেনা।

তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে স্কুল পর্যায় থেকে আমাদের ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতি বিরোধী যৌন শিক্ষার নামে বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে। স্কুলে যদি যৌনবিষয়ক এই শিক্ষা চালু থাকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সে দিকে আগ্রহী করে তুলবে এবং অবাধ যৌন মিলনে তাদের মনে ইন্ধন যোগাবে।

এতে আমাদের পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। বাংলাদেশের সামাজিক পরিবেশের সাথে স্কুলের শিক্ষার্থীদের যৌনবিষয়ক সচেতনতা শিক্ষার কোন প্রয়োজন নেই। এই শিক্ষা অল্প বয়সেই এদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অবাধ যৌনাচারের ফলে প্রাণঘাতি নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হবে।

তিনি প্রশাসন ও সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ধর্ম, সমাজ ও নৈতিকতা বিরোধী এই শিক্ষা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বন্ধ করুন। অন্যথায় আলেমসমাজ ধর্মপ্রাণ জনসাধারণকে সাথে নিয়ে পরিবার ও সমাজ রক্ষায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজম্মের চরিত্র ও সামাজিক মুল্যবোধ রক্ষায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ বিবিসির এক ভিডিও প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশের ৩৫০টি স্কুলে ‘জেমস’ নামের দুই বছর মেয়াদী এই বিশেষ কোর্সটি চালু আছে গত পাঁচ বছর ধরে। ২০১৪ সালে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল- ইউএনএফপিএ-এর অর্থায়নে চলছে এটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চালু এই প্রোগ্রামে অচিরেই আরও দুইশো স্কুলকে যুক্ত করা হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে চালু এই কোর্সটির ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমা দেশের বিদ্যালয়ে পড়ানো সেক্স এডুকেশনের আদলে’ এ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ