আওয়ার ইসলাম: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আজ সবাই অনিয়মে ডুবে আছি। বনানীর এই বিয়োগাত্মক ঘটনা এসব অনিয়মের পরিণতি।
তিনি বলেন, ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক আগেই কাজ শুরু হয়েছে, এবার এসব অনিয়ম বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ শুরু হবে। ১৮তলা ভবনের অনুমোদন পেলো, বানালো ২৩তলা। এই অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ক্ষমা হবে না।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের মতো এভাবে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর সহ্য করা ঠিক হবে না। এদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কমিশনের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে লিখবেন, আপনাদের গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সর্বদাই স্বাগত জানাই।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আসুন সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশের সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। আমরা অনেক কাজই করতে পারি না। কেন পারি না? এর উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ আমরা একটি গণ্ডির মধ্যে কাজ করি।
তিনি বলেন, কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ লাখ লাখ ফোন কল এসেছে। এর সামান্য সংখ্যক অভিযোগই আমলে নেওয়া হয়েছে। আর যেসব অভিযোগ কমিশন আইনের আওতায় নেই, সে বিষয়েও আমরা সঠিক পরামর্শ দিচ্ছি। আর যাই হোক হটলাইন-১০৬ এখন জনগণের অভিযোগ জানানোর এক বিশ্বস্ত প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশনের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের মাধ্যমে দেশব্যাপী তাৎক্ষণিক দুর্নীতি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেসব দুর্নীতিবাজ সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে দখল করে ভোগদখল করছেন, নদী দখল করেছেন, লুটপাট করে সম্পত্তি গ্রাস করেছেন, এসব জনগণের সম্পত্তি ত্যাগ করুন, নইলে আপনাদের জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষা করছে।
আরআর