মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৪ পৌষ ১৪৩২ ।। ১০ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
শেষ মুহূর্তে ১৫ আসনে প্রার্থী বদল বিএনপির হাসনাত আব্দুল্লাহ'র সংসদীয় আসন ছেড়ে দিলেন জামায়াতের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে টানাপোড়েন, ২৭২ আসনে মনোনয়ন দাখিল করল ইসলামী আন্দোলন মনোনয়নপত্র জমার সময় বাড়ছে কিনা, জানালেন ইসি সচিব কোটিপতি জামায়াত আমির, আছে নগদ ৬০ লাখ টাকা-ডুপ্লেক্স বাড়ি দুই আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন ইবনে শাইখুল হাদিস কুমিল্লা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কায়কোবাদ সুনামগঞ্জ-২ আসনে ভোটের লড়াইয়ে জমিয়ত নেতা ড. মাওলানা শোয়াইব আহমদ সিলেট-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু ইসলামী ঐক্যজোটের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিতে গণপদত্যাগ

‘দুইবার আগুনে সব শেষ হয়ে গেলো আমার, কী হবে এখন?’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: “একবার আগুনে পুড়ে ব্যবসাপাতি সব শেষ হয়েছে। ধারদেনা করে কোনও রকমে কষ্ট করে আবারও ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আবারও আগুনে সব পুড়ে ছাই হলো। আমাদের কি হবে? আমাদের কে দেখবে? আমাদের তো এখন পথে বসতে হবে। আমাদের সব শেষ, সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম।”

রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস হয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীরা এভাবেই নিজেদের আর্তি প্রকাশ করছিলেন। এসময় নিঃস্বল হয়ে যাওয়া এই ব্যবসায়ীদের অনেকেই কথাগুলো বলতে বলতে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে এই মার্কেটের কাঁচাবাজার অংশে আগুন লাগে। এর পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী প্রায় ৩ ঘণ্টা যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনারা জানেন এর আগেও এখানে আগুন লেগেছিল। কেন বারবার এই আগ্নিকাণ্ড হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এখন সময় এসেছে স্থায়ী সমাধান করার।’

মেয়র আরও বলেন, ‘মার্কেটটিতে এর আগে যখন আগুন লাগে তখন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এখনও কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা এখানে ডিএনসিসি স্থায়ী মার্কেট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মামলার জটিলতা আছে।’

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

আগুনে সব হারানো ব্যবসায়ীদের একজন রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘২০১৭ সালের আগুনে আমার দোকানের ৭৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ করার আগেই ফের নিঃস্ব হলাম। এখন ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই।’

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ