বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

পবিত্র হজে পাথর নিক্ষেপের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jamarat-2আওয়ার ইসলাম: গত বছর হজে শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটায় এ বছর কাজটিতে গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি। জামরায পাথর নিক্ষেপ করতে গিয়ে যাতে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুনর্নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পাথর নিক্ষেপের সময়সূচি।

১০ জিলহজে শুধু বড় জামরায় (শয়তান) কঙ্কর নিক্ষেপ এবং ১১ ও ১২ জিলহজে ছোট, মধ্যম ও বড় এই তিন জামরাতেই (শয়তানকে) পাথর মারা ওয়াজিব। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা পবিত্র হজের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ১০ জিলহজ তারিখে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জামারায় পাথর নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ১১ জিলহজে স্থানীয় সময় বিকাল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করা যাবে না। ১২ জিলহজে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করা যাবে না।

আরব নিউজে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মক্কা কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তুর্কি, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও সৌদি আরবের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে আন্ডার সেক্রেটারি হুসেইন আল শরিফ বলেন, হজ একটি জাতীয় মিশন। এটা নিরাপদ ও নিরুদ্বিগ্ন করতে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেছেন, এবার আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো- হজযাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে নিরাপদে তাদের তাঁবুতে ফেরত যাওয়া নিশ্চিত করা। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৮ জিলহজ। এদিন হাজিরা মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। তারপর তাওয়াফে কুদুমের মাধ্যমে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।

তওয়াফে কুদুম করার পর হাজিরা মিনায় অবস্থান করেন। যেহেতু ৮ জিলহজে তওয়াফে কুদুমের ক্ষেত্রে মক্কায় বেশি ভিড় হয়, তাই ওই দিন নামাজের পর ১ ঘন্টা তাওয়াফ না করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বেশি লোক এক সঙ্গে তাওয়াফ না করা ও তাওয়াফের সময় অতিরিক্ত কিছু বহন না করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ