শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন ৯ ডিসেম্বর ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত হেফাজতের পল্টন জোনের সভাপতি সালাহ উদ্দিন, সম্পাদক সিরাজী ও সাংগঠনিক সাখী ভারতের হিন্দুদের চেয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা আরামে আছে: মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব হাব নির্বাচন ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্যানেল! মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিএনপির বিশাল কর্মী সমাবেশ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে, নেই ভারতে: হেফাজত মহাসচিব ভোলায় হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত কুখ্যাত ডাকাত গ্রেফতার কাল সোহরাওয়ার্দী মুক্তমঞ্চে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়: ফয়জুল করীম

আমাদের গর্ব মাওলানা আব্দুল মালেক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| নাঈমুর রহমান ||

মাওলানা আব্দুল মালেক একজন প্রাজ্ঞ ইসলামিক স্কলার, বরেণ্য আলেম এবং ধর্মীয় চিন্তাবিদ। যিনি তাঁর জ্ঞানের গভীরতা, শিক্ষাগত পরিপূর্ণতা ও অসাধারণ ধর্মীয় বুদ্ধিমত্তার জন্য দেশের গন্ডি পেরিয়ে মুসলিম বিশ্বেও প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত লাভ করেছেন। তাঁর ইলমি পান্ডিত্য ও জ্ঞান চর্চার পরিধি অনেক বিস্তৃত। তিনি বিশ্বখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত বিচারপতি মুফতি তাকি ওসমানী ( হাফি.)-এর শিষ্য।

গত ১৮ অক্টোবর ধর্ম মন্ত্রণালয় তাকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

মাওলানা আব্দুল মালেক জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে নিযুক্ত হাওয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় নেতৃত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। উন্মোচিত হয়েছে এক নতুন দিগন্ত।

তিনি দাওয়াত ও ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারের জন্য সীমাহীন কষ্ট-মেহনত করেন। মুসলিম উম্মাহর সামাজিক অবিচার-অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন এবং তাদের উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নানা সমস্যা ও সংকটমুখী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে আসছেন। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সেক্টরে চরম অবক্ষয়ের সময় দেশের মানুষ ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সচেতনসহ যুগোপযোগী নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুসলিম রাষ্ট্র ও উম্মাহের মধ্যে কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক মজবুত করতে এবং মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোকে ঐক্য ও সুসম্পর্ক  বজায় রাখতে গুরুত্ব দেন।  তিনি জীবনের আরাম আয়েশ ত্যাগ করে উম্মাহর জন্য নিজের সময়, শ্রম, সম্পদ উৎসর্গ করেন। মানবতার কল্যাণে দুঃখী, অভাবী,অসহায়, দরিদ্র্য মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং আর্থিক সাহায্য-সহোযোগিতা করেন। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে ইসলামি শিক্ষার সমন্বয় সাধনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ধর্মীয় গবেষণা ও নতুন প্রজন্মকে কুরআন-হাদিসের আলোকে পান্ডিত্য অর্জন করতে প্রতিষ্ঠা করেছেন এক নজিরবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকা।

এর পাশাপাশি তিনি মুসলিম উম্মাহর আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের জন্য তাসাওউফ ও আত্মশুদ্ধি গুরুত্ব দেন এবং সে লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়  ইসলাহি মজলিসের আয়োজন করেন।

মাওলানা আব্দুল মালেক নববী আদর্শের এক উজ্জ্বল নমুনা। বর্তমান সময়ের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর চিন্তাশীল বক্তব্য ও তাত্ত্বিক আলোচনা মানুষকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করবে। দেশ ও জাতির উন্নতির পথে ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা আসবে। সাথে সাথে মানুষের মাঝে ঐক্য সৃষ্টি হবে। জাগ্রত হবে ভ্রাতৃত্ববোধ। দেশে ফিরবে শান্তি-শৃঙ্খলা। তাঁর এ খতিব পদে নিযুক্ত হওয়া বাংলার মানুষের জন্য সত্যিই বড় প্রাপ্তির। মাওলানা আব্দুর মালেক আমাদের গর্ব। তিনি মুসলিম উম্মাহর গর্ব। আল্লাহ তায়ালা তাঁর নেক হায়াত দান করুন এবং তাঁর ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুক। আমিন।

লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসা, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ