শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪ ।। ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬


‘ইসলামি জনমতকে ‘মৌলবাদ’ বলা ফ্যাসিবাদী আচরণ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামি জনমতকে ‘মৌলবাদ’ বলা ফ্যাসিবাদী আচরণ বৈ অন্য কিছু নয়। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিবৃতি পড়ে আমাদের মনে হয়েছে, তারা ইসলামি জনমতকে বাদ দিয়েই তথাকথিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চান।

পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে টিআইবির বিবৃতির কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

আরও বলা হয়, তাদের বক্তব্যে উগ্র সেক্যুলার ফ্যাসিবাদ কায়েমের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলেও আমরা তা দেখেছি। ওয়ার অন টেরর-এর ইসলামবিদ্বেষী ভাষা ও বয়ান থেকে এখনো তারা বের হতে পারেননি। আমরা কিন্তু ভুলে যাইনি যে, সাম্রাজ্যবাদের দালালিস্বরূপ শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের ওপর সওয়ার হয়ে তারাই একসময় আলেমসমাজ ও ইসলামপন্থীদের দমন-পীড়নের মন্ত্রণা দিত।

তারা বলেন, যেখানে হাসিনার শাসনামলজুড়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাদি নিয়ে ওলামায়ে কেরাম সর্বোচ্চ সোচ্চার ছিলেন, সেখানে নতুন বাংলাদেশে শিক্ষা বিশেষজ্ঞহীন ওই সমন্বয় কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত না করাটা ছিল গুরুতর বৈষম্য। কিন্তু তা নিয়ে সেক্যুলারদের কোনো আলাপ বা প্রশ্ন নেই। উল্টো ‘মৌলবাদ’ ট্যাগ দিয়ে ইসলামী জনমতকে তারা কোণঠাসা করতে চান। তাদের এমন ফ্যাসিবাদী ভাষা ও আচরণের আমরা কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সেক্যুলার সুশীলতার আবরণে ব্র্যাক ও টিআইবিসহ কিছু এনজিও এদেশে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। এদেশে পশ্চিমা প্রভাব ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে তারা সাম্রাজ্যবাদীদের ফান্ড পেয়ে থাকে। সে কারণে তারা বিভিন্ন বিতর্কিত পশ্চিমা মূল্যবোধ ঢুকিয়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দূষিত করতে তৎপর। কিন্তু এক্ষেত্রে ইসলামী জনমত তাদের জন্য বড় বাধা। কারণ ইসলামি জনমত সবসময় দেশের স্বার্থ, জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় চেতনা ও সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে গঠিত হয়। আলেম-ওলামা ও ইসলামি জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে যেকোনো আত্মবিনাশী সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা ঠেকিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ