মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ ।। ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২০ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে গাজায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরে মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন মাদরাসা শিক্ষার্থী হত্যায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ফজলে করিমকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মিত হবে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা ১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের কম খরচে হত্যার মার্কিন-ইসরায়েলি কৌশল ‘চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করুন, নয়তো আপনাদের ওপরও অভিশাপ নেমে আসবে’ তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান মুক্তিযুদ্ধকে সুপরিকল্পিতভাবে অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে

নামাজ আদায়ের স্থান পবিত্র হওয়া আবশ্যক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মোহাম্মাদ হুজাইফা ||

প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের জন্য দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হলো—ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা। এছাড়াও হাদিসে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, আওয়াবিনসহ বহু নফল নামাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নামাজ সহিহ হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো—নামাজ আদায়ের স্থান পবিত্র হতে হবে। যদি জায়গাটি অপবিত্র হয়, তবে সেই নামাজ শুদ্ধ হবে না এবং তা পুনরায় আদায় করতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে—নামাজ কোথায় আদায় করা যাবে? হাদিসে এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আমাকে ছয়টি বিষয়ে অন্যান্য নবীগণের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে:
১. সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর বক্তব্য প্রদান,
২. এক মাস দূরত্বে অবস্থান করেও শত্রুর অন্তরে ভীতি সঞ্চার,
৩. গনিমতের সম্পদ আমার জন্য হালাল করা,
৪. সমগ্র ভূমিকে আমার জন্য পবিত্র ও নামাজের উপযুক্ত করা,
৫. আমাকে সমগ্র মানবজাতির প্রতি নবী করে পাঠানো,
৬. আমার মাধ্যমে নবুয়তের ধারাবাহিকতা শেষ করা।” (মুসলিম, হাদিস: ৫২৩)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, সমগ্র জমিনই মূলত নামাজের উপযোগী ও পবিত্র। তবে যেখানে স্পষ্টভাবে নাপাক বা অপবিত্র বস্তু রয়েছে, সেখানে নামাজ আদায়ের আগে স্থানটি পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। আর যদি সেই অপবিত্রতা শুকিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়, তবে সেখানে নামাজ আদায় করা যাবে।

তবে কিছু নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ আদায় করা নিষেধ। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “সমগ্র জমিনই নামাজের স্থান, তবে কবরস্থান ও গোসলখানায় নামাজ আদায় করা যাবে না।” (তিরমিজি, হাদিস: ৩১৭) অন্য বর্ণনায় আরও কিছু স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন: উটের বাসস্থান, ডাস্টবিন, ও কসাইখানা।

তদুপরি, এমন কোনো স্থানে নামাজ আদায় করা মাকরুহ, যেখানে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা অন্যদের কষ্ট হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ