
|
সুদানে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০
প্রকাশ:
০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:৪২ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী সুদানের যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর কর্ডোফান প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর এল-ওবেইদে একটি জানাজার মজমায় হামলা হয়। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এই খবর নিশ্চিত করলেও হামলার সময় বা এর পেছনে কারা ছিল, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি। তবে প্রাদেশিক সরকারের মতে, আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ( আরএসএফ) এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে নারী ও শিশুরাও প্রাণ হারিয়েছেন। এল-ওবেইদ শহরটি এখনো সরকারি বাহিনী সুদানিজ আর্মড ফোর্সেসের দখলে থাকলেও আরএসএফ শহরটিতে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সেনাবাহিনীও তাদের প্রতিহত করার জন্য শহরে সেনা জড়ো করেছে। ওচা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্ডোফান অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। তারা অবিলম্বে সংঘাত বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এল-ওবেইদ অঞ্চলে যুদ্ধ তীব্র হয়েছে। আরএসএফ সম্প্রতি এল-ওবেইদ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত বারা শহরটি এসএএফের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করার পর গত সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ এল-ওবেইদ-এ পালিয়ে আসে। এদিকে, আরএসএফ উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের খবর পাওয়া গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আরএসএফের দখলের পর শহরটি এবং এর আশপাশের এলাকা থেকে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছেন। ইয়েলের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের হিউম্যানিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাবের পরিচালক নাথানিয়েল রেমন্ড আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, আরএসএফ এল-ফাশের-এ গণকবর খনন এবং মরদেহ সংগ্রহ শুরু করেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, এল-ফাশের-এ এখনো হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে আরএসএফ এবং এসএফের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া এই ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘাতে ইতোমধ্যে লক্ষাধিক মানুষ নিহত এবং দেশটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মঙ্গলবার সুদানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাসান কাবরুন নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও এসএএফ আরএসএফের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে। এলএইস/ |