
|
নিউইয়র্কে ১০ লাখ মুসলিম মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবেন: মেয়র মামদানি
প্রকাশ:
০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:০৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
আমেরিকার নিউইয়র্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ এবং প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট সমর্থিত প্রার্থী জোহরান মামদানি (৩৪)। তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই মার্কিন সিটির ১১১তম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন মামদানি। মামদানি বলেন, আমার বন্ধুরা, আমরা একটি রাজনৈতিক রাজবংশের পতন ঘটিয়েছি। আমি পরাজিত প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমোকে (৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন) ব্যক্তিগত ভাবে শুভকামনা জানাই। নিউইয়র্কের নতুন প্রজন্মকে ধন্যবাদ, আমরা তোমাদের জন্য লড়াই করব কারণ আমরা তোমাদেরই। নিউইয়র্ক শহর এই মুহূর্তে নিঃশ্বাস নিচ্ছে, আমরা এতদিন ধরে আমাদের নিঃশ্বাস আটকে রেখেছি। আপনি একজন অভিবাসী হোন বা ট্রান্স জেন্ডার হোন- আমরা সব নগরবাসীকে সমানভাবেই ভালোবাসী। ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে ফেডারেল চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। মামদানি বলেন, আমি তরুণ এবং আমি একজন মুসলিম। আমি মুসলিম হওয়ার জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি নই। নিউইয়র্ক শহরে আর আপনাকে ইসলামোফোবিয়ায় ভুগতে হবে না। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কথা উদ্ধৃত করে মামদানি বলেন, ইতিহাসে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন আমরা পুরাতন থেকে নতুনের দিকে পা রাখি, যখন একটি যুগ শেষ হয় এবং দীর্ঘকাল ধরে চাপা পড়ে থাকা যখন একটি জাতির আত্মা মুক্তি পায়। মামদানি বলেন, নিউইয়র্কে দশ লাখের বেশি মুসলিম এখন থেকে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করবেন। অনেক মুসলিমকেই পরিচয় লুকিয়ে রাখতে হয়, ভয় ও সামাজিক চাপে থাকতে হয়। ইসলামোফোবিয়া নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার কারণে জোহরান মামদানি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তির সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এর আগে ২৪ অক্টোবর ব্রঙ্কসের এক মসজিদের বাইরে সমাবেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর তাঁর খালা কীভাবে হিজাব পরে পাতাল রেলে যাতায়াত করতে ভয় পেতেন, অনিরাপদ বোধ করতেন। এমএম/ |