
|
আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়া-তুরস্ক সম্পর্কের নতুন মোড়
প্রকাশ:
০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:১৫ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের এক বছর পার হতে চলেছে। এ সময়ের মধ্যে তুরস্ক ও সিরিয়ার নতুন সরকার একে অপরের কাছাকাছি এসেছে। দুই দেশ এখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। খবর শাফাক নিউজের। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারার নেতৃত্বে সিরিয়ায় সংস্কার ও পুনর্গঠনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাথ শাসন ও সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ১০ লাখ সিরিয়ান প্রাণ হারিয়েছে। এখন সেই অন্ধকার সময় শেষ। এরদোয়ান জানান, তুরস্কের প্রচেষ্টায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত অনেক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক সিরিয়ার পুনর্গঠন ও উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এরদোয়ান বলেন, সিরিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করা এখন আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত নুহ ইয়িলমাজ বলেন, সিরিয়ার স্থিতিশীলতা মানে গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা। তাই আমরা সিরিয়ার পুনর্গঠন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। তিনি জানান, কয়েকজন সিরিয়ান সেনা এখন তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে যাতে দেশটির নিরাপত্তা জোরদার করা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজেন খালাফের মতে, তুরস্ক এখন সিরিয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে দেখছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন হলে তুরস্কের আঞ্চলিক প্রভাবও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে থাকা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (সিডিএফ) সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক এখন মুখোমুখি সংঘাতের বদলে সমন্বয়ের দিকে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, দামেস্ক ও আংকারা যৌথভাবে এমন একটি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করতে পারে যেখানে সিডিএফ বাহিনীও যুক্ত হবে, যা ভবিষ্যতে বিভক্তি ও সংঘাত কমাবে। এনএইচ/ |