
| 	
        
			
							
			
			  প্রাইমারিতে এবার কুরআন শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত হোক  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										০৪ নভেম্বর, ২০২৫,  ০৭:২৫ সকাল
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 মাসউদুল কাদির লাল সবুজের এই দেশটাকে আমরা নিজেদের করে নিতে পারি না। ফুটন্ত একটি জুলাই উপহারের পর অন্তত এ কথা এখন ভুলে যাওয়া উচিত। আমাদের আকাবির, আমাদের গুরুজনেরা পাহাড়সম ত্যাগ দিয়ে ইংরেজ খেদাও আন্দোলন করে একটি দেশ উপহার দিয়েছিলেন। যারা ৪৭ অস্বীকার করেন- তারা কি মানুষ? বরং পশুর চেয়ে অধম। কারণ, ৪৭ না হলে বাংলাদেশ হতো না। তার আগে পাকিস্তান হতো না। আপনি দেখবেন বঙ্গীয় বুদ্ধিজীবী কিংবা বুদ্ধি বিক্রেতাদের কেউ ৪৭ নিয়ে কখনো কথা বলেন না। অন্তত এ বাংলাদেশে তারা ৪৭ নিয়ে, তিতুমীর নিয়ে, হুসাইন আহমদ মাদানী নিয়ে তারা কথা বলে না। কারণ, তাদের গুরুদের খুঁজলে দেখা যাবে-তারা ছিলো ইংরেজদের দালাল। ঢাকার একটি সেমিনারে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমেদ্বীন উপমহাদেশে আলেম সমাজের স্বাধীনতার আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে সামান্যই কথা বলছিলেন। সাংবাদিক করিডোর থেকে অল্প বয়সের একজন নারী সাংবাদিকের কাছে মনে হলো- এই ইতিহাস মিথ্যা। সে প্রতিবাদ জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে গেল। প্রতিবাদ করতে চাইলো। একজন বয়স্ক সাংবাদিক নারী এই গণমাধ্যমকর্মীকে অনেকটা ধমক দিয়ে বললেন, এই মেয়ে! তুমি ইতিহাসের কী জানো? ১৯৪৭ বুঝো? কিছু পড়েছো কখনো? মহাত্মা গান্ধীকে কখনো পড়েছো? -এসব কি কীভাবে সত্য হয়? আলেমরা কবে স্বাধীনতা আন্দোলন করেছে? যারা ক্ষমতায় যায়, তারা মনে করেন, আমরা কিনে নিয়েছি। আর কারো কথা শুনবার সুযোগ নেই। কেবল ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার ঘ্রাণ পেয়েই মসজিদ দখল, মাদরাসা দখল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বক্তা দখল, সিএনজি স্ট্যান্ড, ভ্যান স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড দখলসহ সবখানে তারা অবদান রাখছেন। রাষ্ট্র যদি আলেমদের সহযোগিতা নেয়, সরকারের বিভিন্ন জায়গায় আলেমদেরদ বসায় তাহলে সততার দীনতা থেকে দেশ বাঁচবে। দেশ সুরক্ষা পাবে। কারণ, দেশ এ সময়ে দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্যের চরম সীমায় দণ্ডায়মান। আফগানিস্তানে কেন উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। শুধু বিশ্বের আর কোনো দিক দেখার দরকার নেই। দেশের সর্বত্র ইসলাম প্রিয় জনতাকে যদি কাজে লাগাতে পারে তবে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। সরকারকে রাজনৈতিকভাবে সবসময় চাপেই রাখতে হয়, চাপ দিতে পারলে প্রাইমারিতে, পুলিশে, সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ চূড়ান্ত করে নিতে পারে ইসলামপ্রিয় তরুণ। কেবল শারীরিক ফিটনেস ঠিক থাকলেই যুদ্ধে পাঠানো যায় না। মীর জাফরদের শারীরিক ফিটনেস ঠিক ছিল। সততার ফিটনেসের কোনো খবর ছিলো না। ইংরেজদের দালালী করতে সামান্য সময়ও নেয়নি। তাই সততার ফিটনেসকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারের প্রাইমারী বিদ্যালয়ের যেকোনো শ্রেণিতে যেকোনো বই, বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য কিছু সবই পড়াতে সক্ষম একজন আলেম। কোথাও কোথাও জেনারেলওদের চেয়েও দক্ষ আলেম পড়ে আছে সমাজে। কাজে লাগান, জিতবেন। দেশ বাঁচবে। তারা কখনো দেশবিরোধী হয় না। ৪৭ এ দেশের পক্ষে ছিলো, ৭১ এ দেশের পক্ষে ছিলো, জুলাইয়ে সচক্ষে দেখেছে দেশের মানুষ। শ্রীলঙ্কায় খোঁজ নিন দেশের  পক্ষে যুদ্ধ করেছে আলেম সমাজ।  এনএইচ/  |