
| 	
        
			
							
			
			  ‘রাসূলের (সা.) সাহাবা ও পয়গাম্বরদের সমালোচনার ধৃষ্টতা দেখায় জামায়াত’  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										৩১ অক্টোবর, ২০২৫,  ০৯:০৬ সকাল
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 জামায়াত-মওদুদীপন্থীরা রাসূলের (সা.) সাহাবাগণ এবং আল্লাহর পয়গাম্বরদের (আ.) সম্পর্কে কটূক্তি ও সমালোচনা করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আলেম-ওলামাগণের মুখে কুলুপ এঁটে চুপ করে এখন আর বসে থাকলে হবে না। নইলে কাল কেয়ামতের মাঠে আলেমদেও ইলম গোপন করার জন্য জবাব দিতে হবে’। মুসলমানদের ঈমান-আকিদা বাঁচাতে আলেম-ওলামাদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজত আমির প্রবীণ আলেমেদ্বীন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। গত বুধবার হাটহাজারী উপজেলায় হাটহাজারী হাইস্কুল মাঠে আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রথম দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী জামায়েতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা ও তাত্ত্বিক আবুল আলা মওদূদীর লেখা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘মওদূদী বলেছেন আল্লাহর রাসূল (সা.) ছাড়া আর কেউ নাকি সত্যের মাপকাঠি হতে পারে না; সাহাবাগণও নয়। অথচ স্বয়ং আল্লাহ পাক ফরমান, আমি তাদের (সাহাবাদের) ওপর রাজি। সাহাবাগণও (রা.) আমার ওপর রাজি’। বাবুনগরী বলেন, ‘মওদূদী কমবখ্ত (পোড়াকপাল) বলেছে, আল্লাহর পয়গাম্বরগণ (আ.) নাকি নিষ্পাপ নয়; অর্থাৎ পাপী। তারা কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। এসব মুনাফেকি কথা বললে কি ঈমান-আকিদা থাকে? তারা লাখ লাখ মুসলমানকে কাফের ও পথভ্রষ্ট করতে চাইছে’। হেফাজত আমির বলেন, জামায়াত-মওদূদীপন্থীরা হযরত ওমরের (রা.) চরিত্র সম্পর্কে অপবাদ ও সমালোচনার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। যা আজ পর্যন্ত কোনো কাফেরও করেনি। অথচ স্বয়ং রাসূলে পাক (সা.) উত্তম চরিত্রের অধিকারী হযরত ওমর রা. সম্পর্কে বলেছেন, যদি আল্লাহ তা’আলা আর কাউকে নবী হিসেবে দুনিয়ায় পাঠাতেন, ওমর ছিলেন সেই গুণান্বিত সাহাবী। জামায়াত-মওদূদীপন্থীদের এসব ঈমানবিরোধী কাজের বিরুদ্ধে এদেশের আলেম-ওলামাদের মুখ খুলতে হবে। তাফসীর মাহফিলে ধারাবাহিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শোয়াইব জমীরী, মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা মোহাম্মদ শফী ও মাওলানা ওসমান সিকদার। সঞ্চালনা করেন মাওলানা রিজওয়ান আরমান। এনএইচ/  |