
|
সকল বিভাজন ভুলে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসমাবেশে শরিক হোন: তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত
প্রকাশ:
২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:৪৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
আগামী ১৫ই নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ কাদিয়ানী মতবাদ ও নবুওয়াত বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্য ও প্রতিবাদের আন্তর্জাতিক বার্তা বহন করবে। এটাই সময় মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি তোলার।কাদিয়ানীরা ইসলাম থেকে পৃথক ও অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় ইস্যু নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা, ধর্মীয় সংহতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার বিষয়। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাদ এশা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক মসজিদে আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ পল্টন জোনের পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী এসব কথা বলেন। জোন সভাপতি মাওলানা জুবায়ের রশিদের সভাপতিত্বে পরামর্শ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা ইউনুস ঢালি, মাওলানা আশিক উল্লাহ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা ওমর ফারুক কুতুবী, মুফতি জুবায়ের আহমাদ, মুফতি তৌহিদুল ইসলাম, মুফতি আসাদুল্লাহ জাকির, মুফতি আক্তার হোসেন সহ মতিঝিল, পল্টন, রমনা ও শাহবাগ থানার ইমাম ও খতিবগণ। সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,শাহবাগ থানার বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ জাকির হোসেন মিন্টু, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম স্বপন, শাহবাগ থানা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির জনাব আহসান হাবিব, জামায়াত পল্টন থানার আমির জনাব শাহীন আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন,কাদিয়ানী সম্প্রদায় (যারা নিজেদের ‘আহমদিয়া মুসলিম’ বলে পরিচয় দেয়) মূলত ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস "খাতামুন নবিয়্যীন" তথা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর আর কোনো নবী আসবে না।এই বিশ্বাসের বিরোধিতা করে। তারা মির্জা গোলাম আহমদকে নবী ও মসীহ হিসেবে বিশ্বাস করে, যা সম্পূর্ণভাবে ইসলামবিরোধী ও ঈমান নষ্টকারী আকীদা। এই বিশ্বাস কুরআন, হাদিস এবং ইজমায়ে উম্মতের স্পষ্ট পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানে “আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস” ভিত্তিক রাষ্ট্র হওয়ায় ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসে আঘাতকারী গোষ্ঠীকে মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সাংবিধানিকভাবেও বৈধ নয়। তাই কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা। আরএইচ/ |