কৌশলে বোকা বানালেন ট্রাম্প, ক্ষুব্ধ মুসলিম নেতারা
প্রকাশ:
০২ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজার জন্য ঘোষিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে মুসলিম ও আরব দেশগুলো প্রতারিত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হস্তক্ষেপে চুক্তির শর্তাবলিতে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে দাবি এসব দেশের। এতে আটটি মুসলিম ও আরব দেশ ক্ষুব্ধ। মার্কিন মিডিয়া আউটলেট অ্যাক্সিওস বলছে, প্রাথমিকভাবে আটটি মুসলিম ও আরব দেশ কাতার, মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান—ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছিল। তবে, নেতানিয়াহুর হস্তক্ষেপে চুক্তির বিস্তারিত শর্তাবলি ইসরায়েলের অনুকূলে পরিবর্তন করা হয়েছে। কাতার ও অন্যান্য আরব দেশ আপত্তি জানানো সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস পরিবর্তিত চুক্তিটি প্রকাশ করে। ফলে এই দেশগুলো তাদের আগের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, পরিবর্তিত চুক্তিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ভবিষ্যতের গাজা সরকার থেকে বাদ দেওয়ার মতো কিছু শর্ত রয়েছে। হামাস এই শর্তগুলো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এবং অন্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর সাথে আলোচনা করছে। হামাসের সাথে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা কাতার, মিশর এবং তুরস্কের কর্মকর্তারা পরিবর্তিত চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চুক্তির কিছু বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা ও স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে ট্রাম্পের পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন, তবে তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা জোর করে প্রতিরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন। এটি চুক্তির কিছু অস্পষ্ট অংশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এদিকে ট্রাম্প হামাসকে চুক্তি মেনে নেওয়ার জন্য তিন থেকে চার দিনের সময়সীমা দিয়েছেন। তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। কাতারের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাসকে প্রস্তাবটি মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে, তবে একই সাথে তারা চুক্তির পরিবর্তিত শর্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, হামাস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়নি, এবং তাদের ভেতরের বিভিন্ন পক্ষ চুক্তির বিভিন্ন শর্ত নিয়ে বিভক্ত। গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। এর আগে ইসরায়েল কাতারের ওপর হামলা চালিয়েছিল, যেখানে হামাসের কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন। এর জন্য ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে কাতারের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। এরপর কাতার আবারও মধ্যস্থতার ভূমিকা নেয়, কিন্তু পরিবর্তিত চুক্তির কারণে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। গাজা নিয়ে শান্তি চুক্তির খুব কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, সেখানে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন তিনি নিজেই। তাকে সহায়তা করবেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। এনএইচ/ |