জনগণ রায় দিলে দেশকে ৫ বছরে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করা সম্ভব: জামায়াত আমির
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪১ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

জামায়াতে ইসলামী দেশের ন্যায়-ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাফরুল পশ্চিম থানায় আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, “জনগণ সত্যের পক্ষে রায় দিলে ৫ বছরের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করা সম্ভব এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।”

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা দেশের মানুষকে বৈষম্য, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলন চালাচ্ছি। সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সকল নাগরিক যেন ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নির্বিশেষে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করতে পারে, সেই ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা এমন এক সমাজ কায়েম করতে চাই যেখানে সকল মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে এবং ধর্মভিত্তিক বিভাজন থাকবে না। সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি সুশিক্ষার সম্প্রসারণে, কারণ সুশিক্ষাই মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করতে পারে।”

ডা. শফিকুর রহমান সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জুলাই বিপ্লব আমাদের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। কিন্তু শঙ্কা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তাই সতর্ক ও দায়িত্বশীলভাবে অগ্রসর হতে হবে।”

তিনি রাজনীতিতে মূল্যবোধের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়া যারা, তাদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ এবং আল্লাহর কাছে জবাবদিহি নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, সবাইকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হলেও আল্লাহকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। “আমরা এমন এক ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশ চাই যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষ ভয়ের ছায়া ছাড়াই বাঁচতে পারবে।”

অতীতের নেতাদের অক্ষমতার উদাহরণ তুলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তাই ভবিষ্যতের জন্য জনগণকে সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি পুনরায় বলেন, “জনগণ সত্যের পক্ষে রায় দিলে ৫ বছরের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করার পাশাপাশি ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।” সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এমএইচ/