নেপালে ক্ষমতা নিতে পারে সেনাবাহিনী
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:৪৬ রাত
নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীর পদত্যাগে সৃষ্ট রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে অস্থায়ীভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে নেপালের সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পর দেশজুড়ে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক্য এবং নেপালি জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বর্তমান পরিস্থিতিকে কঠিন সময় আখ্যা দিয়ে সেনাবাহিনী বলেছে, এই সংকট মোকাবেলায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেছে তারা।

সেনাবাহিনী আরও বলেছে, “আমরা আন্তরিকভাবে সবার কাছে, বিশেষত তরুণদের কাছে আহ্বান জানাই—এই কঠিন সময়ে সামাজিক সম্প্রীতি, শান্তি ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখুন।”

এদিকে, কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর নেপালে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই রাজধানী কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুলেছে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া জেন-জি প্রজন্ম।

ওলি পদত্যাগের পর অনলাইনে বিক্ষোভকারীরা বালেন্দ্র শাহকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন।

গত সপ্তাহে ফেসবুক, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল নেপাল সরকার। এর প্রতিবাদে তরুণ-তরুণীরা রাস্তায় নেমে আসে। তবে সোমবার বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে কেবল কাঠমান্ডুতেই ১৮ জনসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হন। নিহতদের অনেকেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বালেন্দ্র শাহ একসময় জনপ্রিয় র‌্যাপার ছিলেন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে এসে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচিত হন। বর্তমানে তার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।

আন্দোলনের শুরুতেই বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানান তিনি। তবে যেহেতু আন্দোলনে যোগদানের জন্য বয়সসীমা ২৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাই তিনি সরাসরি অংশ নিতে পারেননি।

বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “এটি তরুণ প্রজন্মের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন, যাদের কাছে হয়তো আমাকেও বয়স্ক মনে হতে পারে। আমি তাদের আশা, লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনা বুঝতে চাই। রাজনৈতিক দল, নেতা, সাংসদ বা প্রচারকদের এই সমাবেশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়।”

তিনি আরও জানান, সরাসরি আন্দোলনে উপস্থিত না হলেও জেন-জি প্রজন্মের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

সূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে

এমএইচ/