নির্বাচনের অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা: আমীর খসরু
প্রকাশ:
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:৫৯ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের অর্থনীতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং নতুন বিনিয়োগ না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অন্যতম কারণ। বিনিয়োগকারীরা আগাম নির্বাচন চাচ্ছেন এবং সেটির জন্য অপেক্ষা করছেন। বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পোস্ট-জুলাই পলিটিক্যাল থটস : হুইচ ডিরেকশন বাংলাদেশ ইজ ওয়াকিং’ (জুলাই-পরবর্তী রাজনৈতিক ভাবনা : বাংলাদেশ কোন দিকে হাঁটছে)। আমীর খসরু বলেন, “অনেক আগেই দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া উচিত ছিল। সেই পথ না নেওয়ার ফলে দেশ আজ গভীর সঙ্কটে পড়েছে। সরকার ও জনগণের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই— একদিকে সরকার, অন্যদিকে জনগণ। এর মাঝে কোনো সেতু দেখা যাচ্ছে না।” তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় নতুন বিনিয়োগ থমকে আছে। “বিনিয়োগকারীরা নির্বাচনের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তবেই বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত হবেন। এখন যারা বিনিয়োগ করছেন, তারা মূলত পূর্বের বিনিয়োগের সম্প্রসারণ বা রক্ষণাবেক্ষণ করছেন,”— বলেন তিনি। বিশ্ব রাজনীতির উদাহরণ টেনে আমীর খসরু বলেন, “বিপ্লব বা গণ-আন্দোলনের পর যারা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরেছে, তারা স্থিতিশীলতা পেয়েছে। আর যারা ফেরেনি, সেখানে গৃহযুদ্ধ ও ধ্বংস নেমে এসেছে।” তিনি জুলাই আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে বিভেদ সৃষ্টির সমালোচনা করে বলেন, “কে কৃতিত্ব নেবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কেউ মুক্তিযুদ্ধ বিক্রি করে, আবার কেউ চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান। বিএনপি জুলাই আন্দোলনের কৃতিত্ব নিতে চায় না, এটা ছিল জনগণের অভ্যুত্থান।” সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব লিডারশিপের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কাদের চৌধুরী। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা গোলাম রাব্বানী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থামব্রিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলিয়ার হোসেন। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। ড. রিপন বলেন, দেশে ভয়ের সংস্কৃতির অবসান হয়েছে, এখন সময় পরিবর্তনের। “গত ১৫ বছরে একটি ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। এই ভয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্যবসায়ী, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী— এমনকি সেনাবাহিনীর মধ্যেও।” ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে তিনি অভিযোগ করেন, বিচারক, উপাচার্যসহ অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি সরকারের ইচ্ছামতো কাজ করেছেন, যার ফলে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। “সংবাদমাধ্যমগুলোও ভয়ের কারণে সত্য প্রকাশে পিছিয়ে ছিল,”— বলেন বিএনপির এই নেতা। এসএকে/ |