নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ, স্পষ্ট জানাল ইসি
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:৫২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের নিবন্ধনও কার্যত অকার্যকর থাকবে। ফলে তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে কিনা—তা সময়ই নির্ধারণ করবে।

অর্থাৎ, আওয়ামী লীগের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ না উঠলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত দল হিসেবেও তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। যদিও সরাসরি নাম উল্লেখ করেননি, তবে স্থগিত থাকা দলের বিষয়ে ইসির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সংশোধিত আরপিওতে বেশ কিছু নতুন বিধান যুক্ত হয়েছে। যেমন—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করবেন। আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। লাভজনক পদে নিয়োজিত ব্যক্তি বা সরকারি মালিকানাধীন (৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার) প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও প্রার্থী হতে পারবেন না।

এছাড়া, মনোনয়নপত্রের হলফনামায় তথ্য গোপন বা ভুয়া তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং সেই প্রার্থীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে। প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে ব্যালটে ‘না ভোট’ রাখার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। জোটভুক্ত প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন। ইভিএম সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে। ভোট গণনায় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। নির্বাচনী পোস্টার ব্যবহারের বিধান বাতিল করা হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সানাউল্লাহ আরও জানান, কার্যক্রম স্থগিত থাকা কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনও স্থগিত থাকবে এবং তাদের প্রতীক সংরক্ষিত থাকবে।

এমএইচ/