আ.লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে চাইলে আবারও ‘অভ্যুত্থান’ হবে
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:২০ রাত
নিউজ ডেস্ক

কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে বয়ান তৈরি ও সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এ ধরনের যে কোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ‘অভ্যুত্থানের’ ডাক দেওয়া হবে জানিয়েছে সংগঠনটি।

এছাড়া আওয়ামী লীগকে নিয়ে যদি নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা বা অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা হয়, তাহলে অভ্যুত্থানপন্থি ছাত্র-জনতা সেই নির্বাচন বয়কট করবে বলেও জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের পাঠানোর এক বার্তায় এসব কথা জানানো হয়।

সুবিধাভোগী মূলধারার কিছু গণমাধ্যমের টেলিভিশন টকশো, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কলাম ও জরিপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা মোড়কে নিষিদ্ধঘোষিত, পতিত, ফ্যাসিস্ট ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে বয়ান তৈরি ও সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সংগঠনটি স্পষ্ট ভাষায় এ ঘৃণ্য অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়; তারা একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, গণহত্যাকারী ও নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন। যারা বিগত দেড় দশকের দীর্ঘ শাসনামলে গুম, খুন, অপহরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিচারিক হত্যাকাণ্ড, প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষণসহ অগণিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

সেখানে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত, যেখানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জ্বলন্ত প্রমাণ এরই মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। সুতরাং বাংলাদেশের মাটিতে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ বা অন্য যে কোনো নামে হোক না কেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার বিন্দুমাত্র অধিকার নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, বাংলাদেশের মাটিতে ‘আওয়ামী অধ্যায়’ ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্টেই চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হয়েছে। অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এখন সম্পূর্ণ অযোগ্য ও অপ্রাসঙ্গিক। তাই, ইনিয়ে-বিনিয়ে নানা মোড়কে আওয়ামী লীগের পক্ষে বয়ান তৈরি করে সম্মতি উৎপাদনের অর্থ হলো, আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত জুলাই গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়া; যা জুলাই আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি এবং সহস্রাধিক শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

বার্তায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো যদি-কিন্তু ছাড়া স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছে, অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে যদি সম্মতি উৎপাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে ‘আওয়ামী পুনর্বাসন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভ্যুত্থানপন্থি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ‘অভ্যুত্থানের’ ডাক দেবে।

এমএইচ/