সমকামী এক্টিভিস্ট কর্তৃক দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে হত্যার হুমকি
প্রকাশ:
১২ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:২০ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
সৈয়ব আহমেদ সিয়াম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার আসিফ মাহতাব উৎসকে একজন সমকামী অ্যাক্টিভিস্ট কর্তৃক অনলাইনে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ‘অ্যান্টার্কটিকা চৌধুরী’ নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই হুমকিটি দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত ফেসবুক পোস্টে ড. সরোয়ার হোসেনের একটি কার্টুন প্রকাশ করে লেখা হয়— “Kill public figures who are against your legal rights”। ছবিতে তার মুখের পাশে একটি চাপাতির অঙ্কনও ছিল। একইভাবে, আসিফ মাহতাব উৎসের একটি স্কেচে লেখা হয়— “Play football with the severed head of public figures who are against your legal rights” এবং ছবিতে দুই ব্যক্তি মাথায় লাথি মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন দৃশ্য আঁকা ছিল। ড. সরোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন, বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া, ডেঙ্গু ও শিশুদের স্থূলতা বিষয়ে গবেষণা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমে যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি আইইউবির স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক। এছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর অনারারি সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। এর আগে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের বায়োটেক ডিভিশনে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে, আসিফ মাহতাব উৎস সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব একজন পাবলিক স্পিকার। ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ ইস্যুতে তিনি প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তার কর্মজীবন শুরু হয় ২০১৮ সালে ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টারে। পরে মাস্টারমাইন্ড স্কুলে সিনিয়র শিক্ষক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের সহকারী প্রভাষক এবং পরবর্তীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। ২০২৩ সালে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক একটি গল্প সমালোচনা করে আসিফ মাহতাব আলোচনায় আসেন। ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি সেই গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলার ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেন, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পাঠদান থেকে বিরত রাখে এবং এ ঘটনায় কিছু শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানান। হুমকির বিষয়ে ড. সরোয়ার হোসেন বলেন, “এটি শুধু আমাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয় নয়, বরং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্যও হুমকি। আমরা দ্রুত হুমকিদাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি সাইবার ইউনিট তদন্ত করছে এবং হুমকিদাতার পরিচয় উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। এমএইচ/ |