ফ্যাসিস্ট আমলের ১০ নির্বাচন কমিশনার ও ২ সচিবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:৩৬ রাত
নিউজ ডেস্ক

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, ৯ নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশন সচিবসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত বাকিরা হলেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক।

আদালতের আদেশে বলা হয়, আসামিরা বর্তমানে পলাতক আছেন। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের বিদেশ গমন বাতিল করার জন্য এসএস ইমিগ্রেশন (প্রশাসন) ও এসবিকে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদানের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেছেন। আবেদনসহ নথি পর্যালোচনা করলাম। সার্বিক পর্যালোচনায় তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা আবেদন মঞ্জুর করা হলো। এ মামলার পলাতক আসামিদের বিদেশগমন বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসএস ইমিগ্রেশন (প্রশাসন) ও এসবিকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

গত ২২ জুন বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উলটো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। এরপর মামলায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করা হয়।

এ মামলায় গত ২২ জুন সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে ২৩ জুন ৪ দিন এবং ২৭ জুন আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এছাড়া গত ১ জুলাই তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে গত ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এমএম/