তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তি কমেনি মানুষের
প্রকাশ:
০৪ আগস্ট, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে কয়েকদিন থেকেই। তবে প্লাবনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মেলেনি নদীপাড়ের মানুষদের। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ৬টায় পানি ছিল বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে, সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমায় পৌঁছে যায়। এরপর দুপুরে তা ৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। তবে রাতের পর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ী এবং জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ৮-১০ হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডালিয়া ব্যারাজের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলার চর ও গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে হাঁটুসমান পানি উঠেছে। মানুষজন পরিবার-পরিজন নিয়ে উঁচুস্থানে সরে গেছেন। এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) জানায়, রংপুর বিভাগের ধরলা নদীর পানি বাড়ছে, দুধকুমার স্থিতিশীল। তিস্তার পানি আপাতত কমলেও আগামী তিন দিনের মধ্যে আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে। ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বর্তমানে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট (জলকপাট) খুলে রাখা হয়েছে। আমরা সতর্কাবস্থায় আছি। এমএম/ |