উচ্চ রক্তচাপ ও নিম্ন রক্তচাপ কেন হয়?
প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৪৩ রাত
নিউজ ডেস্ক

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

রক্তচাপ (Blood Pressure) হলো হৃদপিন্ডের ধাক্কায় রক্ত যখন ধমনীর মধ্য দিয়ে চলে, তখন রক্ত ও ধমনী দেওয়ালের মধ্যকার চাপ। স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg। এই মাত্রা যদি এর চেয়ে বেশি বা কম হয়, তখন বলা হয় হাই প্রেশার বা লো প্রেশার।

উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure / Hypertension) কেন হয়?

১. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: দীর্ঘমেয়াদে টেনশন বা স্ট্রেস থাকলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।  
২. অতিরিক্ত লবণ খাওয়া: বেশি লবণ রক্তে সোডিয়াম বাড়ায়, যা প্রেশার বাড়ায়।  
৩. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি কারণ হতে পারে।  
৪. স্থূলতা ও ব্যায়ামের অভাব: শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমলে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে।  
৫. বংশগত কারণ: পরিবারে কারও হাই প্রেশার থাকলে ঝুঁকি বাড়ে।  
৬. কিডনি রোগ বা হরমোনজনিত সমস্যা।

নিম্ন রক্তচাপ (Low Blood Pressure / Hypotension) কেন হয়?

১. অপর্যাপ্ত পানি পান: ডিহাইড্রেশনে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।  
২. দীর্ঘসময় না খাওয়া: রক্তে গ্লুকোজ কমে গেলে প্রেশার কমে।  
৩. রোগ বা সংক্রমণ: টাইফয়েড, ডেঙ্গু ইত্যাদি রোগে প্রেসার কমে যেতে পারে।  
৪. হার্টের সমস্যা: হার্ট ঠিকমতো পাম্প না করলে রক্তচাপ কমে।  
৫. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধ (যেমন: ডিপ্রেশনের বা ডায়ুরেটিক) প্রেসার কমাতে পারে।  
৬. গর্ভাবস্থা বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ দুইটাই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। নিয়মিত রক্তচাপ মাপা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সমস্যার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এমএইচ/