‘আল্লাহর নেজাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’
প্রকাশ:
২১ জুলাই, ২০২৫, ০৮:২১ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন মিরপুর-১ মডেল থানা জমিয়তের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ৯টায় জামিয়া ইসলামিয়া মাযহারুল উলুম মিলনায়তনে মাওলানা ফজলে এলাহী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা নূর মোহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা আখতারুজ্জামান কাসেমী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ঢাকুবী। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করে। কিন্তু আজ অবধি সেই স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল আমরা অর্জন করতে পারিনি। ক্ষমতায় যারাই যায়, তারাই দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে। প্রতিপক্ষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালায়। বিরোধী দলগুলোকে ক্ষমতাসীনরা সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা তো তাদের প্রতিপক্ষকে শত্রু মনে করত। কেউ তাদের বিপক্ষে সমালোচনা করলেই তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে দিত। যারা ইসলামের পক্ষে বা ধর্মের পক্ষে কথা বলত, মসজিদ-মাদ্রাসার পক্ষে কথা বলত, তাদেরকে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িক শক্তি—এই সব তকমা লাগিয়ে দেওয়া হতো। দেশের আপামর ছাত্র-জনতার সফল এক গণঅভ্যুত্থানের পর পতিত স্বৈরাচার যদিও পালিয়ে গেছে, কিন্তু অতীতের সেই ধারাবাহিকতা থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তারা কতটুকু সে দায়িত্ব পালন করছে—তার বিচার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলেন, সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন, এখনো যারা ধর্মের ব্যাপারে কাজ করতে যায়, তাদেরকে নতুন করে ‘জঙ্গি’ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। এটা আমরা কোনোভাবেই প্রত্যাশা করিনি। এখনো যদি ‘জঙ্গিবাদ’, ‘উগ্রবাদ’ ইত্যাদি তকমা আমাদের ওপর লাগানো হয়, তবে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য কোথায়? জমিয়তের এই নেতা বলেন, আমরা চাই—সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এই দেশে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে, কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দেশ পরিচালিত হবে। যেহেতু দেশের আপামর মুসলিম জনতা ধর্মপরায়ণ, তাই রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ধর্মের অবাধ চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, যে মানুষ যত ধার্মিক, যত ধর্মপরায়ণ হয়—সে তত বেশি সৎ হয়। যারা ধর্ম-কর্ম থেকে দূরে থাকে, তাদের সৎ হওয়াটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। থানা জমিয়তের কাউন্সিলে মাওলানা সালেহ আহমদের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান আশরাফী, রুপনগর থানা সভাপতি মাওলানা আবুল ফজল, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, কাফরুল থানা সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল্লাহ সাবেরী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আল আমীন, মাওলানা মিনহাজুল আরিফিন, মাওলানা আবুল খায়ের, জনাব মুহাম্মদ আলী। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা ফজলে এলাহীকে সভাপতি, মাওলানা আতাউর রহমান সাধারণ সম্পাদক ও মাওলানা আব্দুল হালীমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে মিরপুর মডেল থানা জমিয়তের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এমএইচ/ |