মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করতে হবে: নাহিদ
প্রকাশ: ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৬:৪৬ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম চলমান মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। আজ রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত এক পদযাত্রা কর্মসূচির সমাবেশে তিনি এই দাবি তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা পদযাত্রা নিয়ে প্রতিটি সম্প্রদায় এবং জাতিগোষ্ঠীর কাছে যাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভাজন এবং অশান্তি সৃষ্টি করে কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের এই সুযোগ দিতে চাই না।”

নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে নাহিদ বলেন, “মুজিববাদী সংবিধানে দেশের সব জনগোষ্ঠীকে সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ কারণে পার্বত্য অঞ্চলের নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা এই সংবিধানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। আমরা চাই নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তাই মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে একটি সবার জন্য সমান অধিকার প্রদানকারী সংবিধান চাই।”

নাহিদ আরও বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে যে বিভেদ এবং অশান্তি চলতে থাকে, তা দূর করতে হবে। মুসলিম, হিন্দু, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ সব জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। আমরা একটি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে চাই। একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য গড়ে তুলতে হবে।”

সমাবেশে সারজিস আলম বলেন, “আমরা দেখেছি, রাষ্ট্র কাঠামোয় কোনো আমলা বা কর্মকর্তা দুর্নীতি করলে তাকে শাস্তিমূলক হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। কিন্তু এতে সেই দুর্নীতিবাজরা পাহাড়ে গিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দুর্নীতিবাজ যেখানে যায়, সেখানে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়কে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”

হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে স্লোগান তুলে বলেন, “এ মুহূর্তে আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো বিচার ও সংস্কার। পাহাড় থেকে সমতলে একসঙ্গে লড়াই হবে। আমরা পাহাড় এবং সমতলে সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সাথে একত্রে বসবাস করতে চাই।”

ডা. তাসনিম জারা বলেন, “সবাইকে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”

সামান্তা শারিমন তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা ধর্ম, জাতি বা বর্ণের বিভেদ সৃষ্টি করব না। প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

এমএইচ/