বৈষম্যহীন সমাজ গঠনই গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য: মাওলানা ইউনুস আহমদ
প্রকাশ:
১৯ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৪৩ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেছেন, “বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনই গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে না পারলে, যারা জীবন দিয়েছে তাদের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে।” আজ শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে “জুলাই বিপ্লব ও আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা প্রমাণ করে, রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার কতটা জরুরি হয়ে উঠেছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের রক্তের দাগ মুছে ফেলতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এনসিপির সমাবেশে হামলা এবং কক্সবাজারে মঞ্চ ভাঙচুরের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি মহল সক্রিয় রয়েছে। প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে বরখাস্ত করতে হবে।” জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করে মাওলানা ইউনুস বলেন, “জাতিসংঘের এই কার্যালয় ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। যারা ইসলামবিদ্বেষী, সমকামীদের প্রমোট করে, তাদের কোনো অফিস বাংলাদেশে থাকতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভাষা যারা বোঝে না, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনিক সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন। জুলাই যোদ্ধাদের হত্যার বিচার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।” আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, সেক্রেটারি জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আব্দুর রব পাটোয়ারী, আব্দুস সাত্তার, দবির উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ কামরুল হকসহ আরও অনেকে। সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, “ভোটারদের ভোটের সঠিক মূল্যায়ন না হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। পেশীশক্তি ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই।” এমএইচ/ |