নিম গাছ: প্রকৃতির প্রাকৃতিক এসি ও পরিবেশ রক্ষার নীরব নায়ক
প্রকাশ:
১৭ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান || নিম গাছ— এমন একটি বৃক্ষ, যার উপকারিতার শেষ নেই। এটি শুধু একটি গাছ নয়, বরং একটি প্রাকৃতিক আশীর্বাদ। পরিবেশ রক্ষায় এর অবদান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে একে "প্রাকৃতিক এসি" বলা হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক নিমগাছ একসঙ্গে ১০টি এসি চালানোর সমান কাজ করে। শুধু তাই নয়, এর ছায়াতলে আশপাশের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। পরিবেশগত উপকারীতা: এই গাছ কেবল দূষণ নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং আশেপাশের পরিবেশ শীতল ও বিশুদ্ধ করতেও দারুণ কার্যকর। যদি কোনো বাড়ির চারদিকে পরিকল্পিতভাবে নিমগাছ লাগানো হয়, তাহলে তা এক ধরনের সবুজ বেষ্টনী বা “Green Belt” তৈরি করে। এতে ওই বাড়ির আশেপাশে একটি মাইক্রোক্লাইমেট গড়ে ওঠে, যার ফলে ভেতরের তাপমাত্রা আশপাশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কম থাকে। বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও শহুরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, নিমগাছ হতে পারে একটি সহজ ও কার্যকর সমাধান। বর্ষাকালেই গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই এখনই সময় নিজ বাড়ির চারপাশে নিমগাছ লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব এক ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তোলার। আজকের গাছ একদিন হবে পরিবারের জন্য প্রাকৃতিক এসি—নিঃশব্দ, ব্যয়বিহীন এবং উপকারী। স্বাস্থ্য্গত উপকারীতা: অর্থনৈতিক গুরুত্ব: নিম গাছ শুধু একটি গাছ নয়, এটি প্রকৃতি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। নিম গাছ (Azadirachta indica) একটি বহু গুণাগুণে সমৃদ্ধ বৃক্ষ। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে খুব পরিচিত ও উপকারী গাছ হিসেবে বিবেচিত। এখনই সময় বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার ধারে ও উন্মুক্ত জায়গায় বেশি বেশি নিম গাছ লাগানোর। এসএকে/ |