‘অতীতের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়া সম্ভব নয়’
প্রকাশ:
০৯ জুলাই, ২০২৫, ০৪:১৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেছেন, ২০২৪ সালের ‘কথিত জাতীয় নির্বাচন’ বাংলাদেশের সচেতন তাওহীদি জনতা, ইসলামপন্থী শক্তি ও গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে একটি প্রহসন হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তিনি বলেন, এই নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণবিহীন, স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সরকার গণতন্ত্রের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। তিনি আরও বলেন, যারা এই ‘ভুয়া নির্বাচনে’ অংশগ্রহণ করেছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছেন। তাই, তাদের নিয়ে ইসলামি শক্তির কোন জোট বা ঐক্য গঠন করা আদর্শিকভাবে ভুল, অযৌক্তিক এবং বেআইনি হবে। আজ (৯ জুলাই) ময়মনসিংহ মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউসুফী এসব কথা বলেন। কাউন্সিলটি আকুয়া বাইপাস রোডস্থ এসআর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী। সঞ্চালনা করেন মাওলানা নুর উদ্দিন সরকার ও মাওলানা তানভীর আহমদ। বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহবুবুল্লাহ কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা মুহাম্মদ বিন হাফেজ্জী, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি জাকির হোসাইন, মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকী ও মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ সুবহানী। মাওলানা ইউসুফী বলেন, ইসলামপন্থী শক্তির মধ্যে সম্প্রতি বৃহত্তর ঐক্য গঠনের আলোচনা চলছে, তবে তিনি বলেন, ঐক্যের জন্য নৈতিক ও আদর্শিক ভিত্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, কিছু ইসলামি দল ও সংগঠন অতীতে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ‘ইসলাম বিরোধী’ মন্তব্য করেছিল, কিন্তু এখন তাদেরই কেউ কেউ সেই দলের সঙ্গে ইসলামী জোট গঠনের চেষ্টা করছে। এটি সাধারণ কর্মী, তাওহীদি জনতা এবং অন্যান্য ইসলামপন্থী দলের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, "আপনারা যে কোনো দলের সঙ্গে জোট করতে পারেন, তবে সেটি ইসলামী জোট হতে পারে না। অন্য নামে জোট করুন, কিন্তু ইসলামী পরিচয়ে নয়।" মাওলানা লোকমান মাযহারী বলেন, কওমি মাদরাসা নিয়ে সরকারের উপদেষ্টা শারমিন এস মোর্শেদের অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে বিষোদগার ও অপমানজনক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা শতবর্ষ পুরনো ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত। তার বক্তব্য শুধু কওমি অঙ্গন নয়, বরং সমগ্র আলেম সমাজ, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং দেশের তাওহীদি জনতার হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ সুবহানীকে সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা নুর উদ্দিন সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মুফতি সাইদুল ইসলাম কাসেমীকে প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এমএইচ/ |