ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন
প্রকাশ: ০১ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০২ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েল ও তার মিত্র দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেই ইরানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য "শত্রু" দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখলে একই শাস্তির মুখে পড়তে হবে ইরানের নাগরিকদের।

মঙ্গলবার ইরানের সংসদে পাস হওয়া নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি, গোয়েন্দাগিরি বা কোনো ধরনের সহযোগিতা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।

বিশেষভাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আইনটি বলছে, যারা ইসরায়েলকে সামরিক, আর্থিক বা প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। একইভাবে, যারা এসব "শত্রু" দেশের পক্ষে কাজ করবে বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে, তাদেরও মৃত্যুদণ্ড হবে।

এছাড়া, স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবার সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি বা রাখাও গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই অপরাধে অভিযুক্ত হলে শাস্তি হবে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড। যারা এসব নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ ১০টির বেশি আমদানি বা উৎপাদন করবেন, তাদের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

যারা সামরিক ড্রোন তৈরি করবে, সাইবার হামলা চালাবে, অথবা শত্রুদের জন্য ইরানি অবকাঠামোয় নাশকতামূলক কাজ করবে, তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি, যদি কেউ শুধু এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে, তাকেও মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।

এছাড়া, যারা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবে বা এমন কনটেন্ট তৈরি করবে যা মানুষের মধ্যে বিভক্তি বা ভয় সৃষ্টি করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, তাদের ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদি কেউ বিদেশি গণমাধ্যমকে ছবি বা ভিডিও পাঠায় যা ইরানি জনগণের মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত করে, তবে তাকে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

এদিকে, ইরানের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে একটি ধর্মীয় ফতোয়া জারি করেছেন। ফতোয়ায় তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে "আল্লাহর শত্রু" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, যে ব্যক্তি ইসলামের নেতা বা শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে হুমকি দেয়, তাকে "সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তি" হিসেবে গণ্য করা হবে।

সূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল

এমএইচ/