মসজিদ আল-আকসা চত্বরে নাচ-গানের অনুমতি দিল ইসরাইল
প্রকাশ:
২৮ জুন, ২০২৫, ১২:৩৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মসজিদ আল-আকসা চত্বরে ইহুদি ধর্মীয় বসতি স্থাপনকারীদের নাচ-গান এবং বাধাহীন ঘোরাফেরার অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল সরকার। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গেভিরের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। ইসরাইলভিত্তিক চ্যানেল সেভেনের খবরে বলা হয়, এই প্রথমবারের মতো পবিত্র আল-আকসা চত্বরে ইহুদি দর্শনার্থীদের গান, নাচ এবং অবাধ ঘোরাফেরার অনুমতি দেওয়া হলো। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন-গেভিরের প্রণীত নতুন নীতির আওতায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বেন-গেভির নিজেও একজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এবং ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ‘জিউইশ পাওয়ার পার্টি’র শীর্ষ নেতা। তিনি বর্তমানে ইসরাইলের স্বরাষ্ট্র ও পুলিশ বিষয়ক দায়িত্বে রয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আল-আকসা চত্বরে সঙ্গীত ও নাচের অনুমতি longstanding আইন ও ধর্মীয় বিধিনিষেধের সরাসরি লঙ্ঘন। চ্যানেল সেভেনের খবরে আরও বলা হয়, তিন সপ্তাহ আগে বেশ কয়েকটি ইহুদি ধর্মীয় সংস্থা আল-আকসা চত্বরে প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে দাবি নিয়ে বেন-গেভিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ওই বৈঠকের পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠকে বেন-গেভির বলেন, “আমি চাই পুরো আল-আকসা চত্বরে সঙ্গীতের ধ্বনি বেজে উঠুক।” ইতোমধ্যে আল-আকসা চত্বরে দায়িত্বরত ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেখানে সঙ্গীত, নৃত্য কিংবা দর্শনার্থীদের ঘোরাফেরায় যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না করা হয়। তবে ইসরাইলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। উল্লেখ্য, বেন-গেভির ২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আল-আকসা চত্বরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের আইন লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে আল-আকসা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলমানদের প্রথম কেবলা ছিল এই মসজিদ। পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা চত্বর ও আশপাশের এলাকা ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইলের দখলে রয়েছে। ১৯৮০ সালে পুরো পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইল দখল করে নেয়, যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকাংশই এখনো পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরাইলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এনএইচ/ |