ফোনালাপে ইরানের পাশে থাকার বার্তা সৌদি যুবরাজের
প্রকাশ:
২৫ জুন, ২০২৫, ০১:২৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মুসলিম বিশ্বে ঐক্য বজায় রাখতে ইরান ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করবে— এমন বার্তা উঠে এসেছে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে ফোনালাপে। সোমবার রাতে দু’দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এ আলোচনা হয়। এতে পেজেশকিয়ান সরাসরি অভিযোগ করেন, আমেরিকা ও ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী মুসলিম বিশ্বের ভ্রাতৃত্ব নষ্ট করতে মরিয়া। কিন্তু ইরান বরাবরই আঞ্চলিক ঐক্য ও শান্তির পক্ষে রয়েছে।” ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তির স্বার্থে মুসলিম দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের হস্তক্ষেপ এই ঐক্যের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। ১২ দিন ধরে চলা ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর সৌদি যুবরাজের সঙ্গে এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হলো। পেজেশকিয়ান আরও জানান, ইরান যেকোনো বৈদেশিক আলোচনা বা কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকবে। তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি ও বৈধ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপসহীন। বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর সহযোগিতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” ফোনালাপে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান স্পষ্ট করে বলেন, “সৌদি আরব শুরু থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে আসছে। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে কোনো দেশকে ইরানের বিরুদ্ধে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে দেব না। এমনকি নিজেদের ভূখণ্ডে কোনো মার্কিন ঘাঁটি থেকেও যেন ইরানের বিরুদ্ধে হামলা না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।” সৌদি যুবরাজ আরও জানান, ইসরায়েলের হামলা বন্ধে রিয়াদ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানের প্রতিক্রিয়া ও প্রতিশোধের কারণও বুঝতে পারি।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ইরানি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর পরদিনই কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান পাল্টা হামলা চালায়। সূত্র: প্রেস টিভি এসএকে/ |