একদিনে ৯৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল, ৬০ জনই ত্রাণের লাইনে
প্রকাশ: ২৫ জুন, ২০২৫, ১১:২২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিনেই বিভিন্ন স্থানে চালানো দফায় দফায় হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে শুধু ত্রাণ সহায়তার অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ জন মানুষ। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন এই তথ্য জানিয়েছে।

অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালায়। এর মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আল-জাইতুন এলাকায় একটি বাড়িতে গোলাবর্ষণের ঘটনায় এক নারী নিহত হন।

উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার পূর্বাঞ্চলে আবাসিক ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই অঞ্চলে এখনো বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিস-এর কেন্দ্রস্থলে এক আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। পাশাপাশি শহরের আল-কাতিবা এলাকা এবং স্ট্রিট ৫-এও গোলাবর্ষণ চালানো হয়। এসব হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ত্রুটিপূর্ণ ও পরিকল্পিতভাবে বাধাগ্রস্ত করা ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার কারণে এ পর্যন্ত ৫১৬ জন নিহত, ৩ হাজার ৭৯৯ জন আহত এবং ৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্য সরবরাহের স্থানগুলোকে 'মৃত্যুকূপে' পরিণত করছে। তাদের ভাষায়, খাদ্য সরবরাহকে অস্ত্র বানিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের অনাহার, অপমান ও গণহত্যার শিকার করা হচ্ছে।

হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়,“এই ভয়াবহ অপরাধ আন্তর্জাতিক সহায়তা ও লজ্জাজনক নীরবতার মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। এটি সরাসরি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”

গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ীদের আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটি দ্রুত নিরাপদ, কার্যকর ও আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা চালু করারও দাবি জানিয়েছে।

এনএইচ/