ইরানের দফায় দফায় হামলা, ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণ
প্রকাশ: ২৩ জুন, ২০২৫, ০২:৩৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় হামলার সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠেছে।

সোমবার (২৩ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের আসদোদ ও লাচিস শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের আশদোদ এলাকায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এ ছাড়া জেরুজালেম শহরের দক্ষিণে লাচিস শহরে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াইনেট নিউজ। ইরানের এ হামলায় শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জেরুজালেম এলাকায় আরও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। এর ফলে সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠেছে। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গে নেসেটের (ইসরায়েলি সংসদ) আইনপ্রণেতারা নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে গেছেন।

আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ১০ দিনে ইরানের হামলায় ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষতি সেন্ট্রাল ইসরায়েলে হলেও হাইফার মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরেও বারবার ইরান হামলা চালিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল আকাশ প্রতিরক্ষাকে ফাঁকি দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। ফলে এ সময় কোনো সাইরেন বাজেনি। হামলার পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে যে, এটি একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, কোনো ভুলবশত ছোড়া প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নয়।

গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন।

ইরান ওই হামলার পরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু করে। ২৩ জুন পর্যন্ত ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-এর আওতায় ইরান ইসরায়েলে মোট ২১ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

এসএকে/