ভুল চিকিৎসায় কলরবের বদরুজ্জামানের শিশুপুত্রের মৃত্যু
প্রকাশ:
২১ জুন, ২০২৫, ০৪:১২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
জাতীয় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা বদরুজ্জামানের শিশুপুত্র চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় ছয় মাস বয়সী এই শিশু মারা যায় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। শনিবার (২১ জুন) দুপুরে ওমর মুহাম্মদ তাযিম নামের এই শিশুর মৃত্যু হয়। শিশুটি গত কয়েক দিন যাবত হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিল। জানা গেছে, আজ বাদ মাগরিব নরসিংদীর গাবতলী ঈদগাহ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। শিল্পী বদরুজ্জামান এবার হজ পালন করেন। তিনি হজের সফরে সৌদি আরবে ছিলেন। চার দিন আগে তিনি সৌদি আরবে অবস্থানকালে ফেসবুকে লেখেন- ‘আমার শিশু সন্তান ভুল চিকিৎসার কারণে ল্যাবএইড হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে আছে। অসহায়ভাবে সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ তাআলা যেন তাকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করেন। আমিন।’ দুই দিন আগে তিনি ফেসবুকে লেখেন- ‘আমার ছোট্ট ছেলেটা এখনো অপরিবর্তিত অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে আছে। হজ্ব মৌসুমে ফ্লাইটের চাপ থাকায় কোনো এয়ারলাইন্সেই টিকিট পাচ্ছিলাম না। অনেক চেষ্টা-তদবিরের পর ছোট ভাই মুরশেদ শেষ পর্যন্ত টিকিটের ব্যবস্থা করেছে। এখন দেশের পথে আছি, কিন্তু এই ৬ ঘণ্টার যাত্রা যেন আমার কাছে ৬ মাসের মতো লাগছে। কোনো কিছুতেই মন বসছে না, কিছুই ভালো লাগছে না। আল্লাহ গো, আমার শিশু সন্তানটাকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করো, তুমি চাইলে সব সম্ভব। আমিন, সুম্মা আমিন।’ শনিবার শিশু ওমর মুহাম্মদ তাযিমের মৃত্যুতে তার পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বদরুজ্জামানের সহকর্মী, বন্ধু ও ভক্ত-অনুরাগীরা ফেসবুকে শোক জানান। তবে অনেকে বদরুজ্জামানের আরেক ছেলের ছবি শেয়ার করে তার মারা যাওয়ার খবর ছড়াচ্ছেন। বিষয়টি উল্লেখ করে বদরুজ্জামানের বন্ধু ও এনসিপি নেতা হাসিব আর রহমান ফেসবুকে লেখেন- ‘বদরুজ্জামান ভাইর জীবিত বাচ্চাকে মেরে ফেলতেছেন আপনারা! এভাবে একটা বাচ্চার ভুল ছবি প্রচার করার কোনো মানে হতে পারে না। আপনি যদি ঠিকঠাক মত সবকিছু নাই জানবেন আপনাকে কেন পোস্ট করতে হবে? কি লাভ এই পোস্ট করে। একটা বেঁচে থাকা বাচ্চার ছবি দিয়ে কেন বলতে হবে - সে মারা গেছে!! এই ধরনের ভুল প্রচার কেন করতে হয় বারবার আমাদের। যাচাই করার মানসিকতা কেন তৈরি হয় না।’ হাসিব লেখেন- ‘বদরুজ্জামান ভাইর যে বাচ্চা আজকে আল্লাহর জিম্মায় চলে গেছে তার নাম ওমর মুহাম্মদ তাযিম। বয়স ৬ মাস। আপনারা যার ছবি দিচ্ছেন তার নাম তাহমিদ হাসান। তাহমিদ বেঁচে আছে। ভালো আছে। ওমর মুহাম্মদ তাযিমকে ল্যাবএইড হসপিটাল ডাক্তারদের সম্পূর্ণ ভুল ও উদাসীনতার কারণে মেরে ফেলা হয়েছে। এটার স্পষ্ট বিচার করা জরুরি।’ এমএইচ/ |