আজকের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ২০ জুন ২০২৫
প্রকাশ:
২০ জুন, ২০২৫, ০৯:৪২ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
দৈনিক ইনকিলাব-এর প্রথম পাতার প্রধান শিরোনাম হলো: "পরমাণু চুক্তি না করলে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসবে!" প্রতিবেদনে বলা হয়: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের জন্ম দিয়েছেন ইরানকে সরাসরি সামরিক হামলার হুমকি দিয়ে। তাঁর হুঁশিয়ারি: "দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিন, না হলে ইরানের ওপর হামলা অনিবার্য!" এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা বাড়ছে। ২০১৫ সালের জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (JCPOA) থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর তেহরান ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতির দিকে যায়। ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাই তাঁর এই ‘সাবলীল যুদ্ধস্বর’ বিশ্লেষকদের মতে ভোটার ও ইসরায়েলপন্থী লবিকে খুশি করার কৌশলও হতে পারে। বিগত বছরগুলোতে ইরান দফায় দফায় পারমাণবিক কার্যক্রম বাড়িয়েছে। হোয়াইট হাউসের বক্তব্য মতে, এখনকার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মাত্রা ৬০% ছাড়িয়েছে—যা বোমা তৈরির জন্য উদ্বেগজনক। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই ভাষ্য মধ্যপ্রাচ্যকে যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে। খবরে ইঙ্গিত রয়েছে—ইসরায়েল ট্রাম্পের বিবৃতিকে স্বাগত জানাচ্ছে, কারণ ইরানবিরোধী অবস্থান তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নে স্পর্শকাতর। একইসাথে তারা চায় মার্কিন নেতৃত্বে ইরানকে সামরিকভাবে কোণঠাসা করা হোক। বিশ্ব নেতারা এখনো শান্তি ও চুক্তির মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ট্রাম্পের বক্তব্য কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তা সংকুচিত করে ফেলছে। ইরানে হামলা মানেই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ, রক্তপাত ও তেলবাজারে অস্থিরতা, যার পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও প্রবাসী শ্রমবাজারে। আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর 'সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দের অর্ধেকই চট্টগ্রামের জন্য'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ১০ মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার একনেকের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার অর্ধেক বরাদ্দই চট্টগ্রামের জন্য। গত বছরের ৮ই অগাস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম একনেক সভা হয় ১৮ই সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষটি ২৪শে মে। এই সময়ে চট্টগ্রামের জন্য ৫০ হাজার ৭৭ কোটি টাকার ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে মেগা প্রকল্পও। এসব প্রকল্প বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চট্টগ্রামের নগর সমস্যা এবং সমুদ্রবন্দরের দুর্বলতা কাটাতে এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল-কাম-সড়কসেতু (১১ হাজার ৫৬০ কোটি), বে-টার্মিনাল মেরিন প্রকল্প (১৩ হাজার ৫২৫ কোটি), পয়োনিষ্কাশন উন্নয়ন, পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, বিমানবন্দর উন্নয়ন এবং সরকারি ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রকল্প। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সরকার মেগা প্রকল্প না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে চট্টগ্রামকেন্দ্রিক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এসব উদ্যোগে চট্টগ্রামের নাগরিক দুর্ভোগ কমবে এবং শহরের অবকাঠামো উন্নয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ![]() নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম 'পাল্টা আঘাতে বিপর্যস্ত ইসরাইল' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ইরান একযোগে দেশটির সেনাঘাঁটি ও গোয়েন্দা দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার মধ্যে ছিল বিরশেভা শহরের সোরোকা হাসপাতালের পাশের সেনা সদর দপ্তর। ইসরায়েলে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। দেশটির সরকার বলছে, ইরান বেসামরিক স্থাপনা, যেমন হাসপাতালকে লক্ষ্য করেছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, মূল লক্ষ্য ছিল সামরিক স্থাপনা, যা বেসামরিক এলাকার কাছেই অবস্থিত। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন। ইসরায়েলও ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র, যেমন নাতাঞ্জ ও আরাক-এ পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব স্থাপনায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপাদান ছিল বলে দাবি করেছে তারা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এদিকে, রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানরা ফোনে আলোচনা করেছেন এবং শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও এই সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত ৬৩৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা। ইরানের প্রেসিডেন্ট জনগণকে ঐক্য ও সহানুভূতির সাথে এই কঠিন সময় পার করার আহ্বান জানিয়েছেন। ![]() প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'ইরান নিয়ে সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে: ট্রাম্প'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরান–ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিলেও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তিনি দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি জড়াবে কি না সে ব্যাপারে। ট্রাম্পের দৃষ্টিতে, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় একাধিক হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নাতাঞ্জ ও আরাকের ভারী পানির চুল্লি। ইরান দাবি করেছে, ইসরায়েলের এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং এতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইরান থেকে চালানো পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের সোরোকা হাসপাতালসহ তেল আবিবের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবারও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। খামেনি পাল্টা দাবি করেন, ইসরায়েল এখন এতটাই দুর্বল যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে সংঘাতবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, যাতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানানো হয়। রাশিয়া ও চীনও ইরানে হামলা না চালানোর জন্য সতর্ক করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ জরুরি বৈঠক করতে যাচ্ছে। ![]() সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'পাল্টাপাল্টি হামলার সঙ্গে তৎপর কূটনীতিও' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মতো বড় শক্তিগুলোর অবস্থানও স্পষ্ট হচ্ছে। ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরান পাল্টা আঘাত করছে, যার ফলে ইসরায়েলে বহু মানুষ আহত ও গৃহহীন হয়েছে। ইরানের হামলায় সোরোকা হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাও টার্গেট হয়েছে, যেখানে ২০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানে হামলা চালানো হবে কি না, তা নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন। রাশিয়া ও চীন এই পরিস্থিতিতে সামরিক সমাধানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া বিশেষ করে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রে থাকা তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীন বলেছে, বড় দেশগুলোকে সংঘাত না বাড়িয়ে শান্তির পথে এগোতে হবে। এদিকে ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি দিয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘ মহাসচিবও সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে, সংঘাতের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরালো হয়ে উঠেছে। ![]() দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'SWISS Banks: Funds linked to Bangladesh hit 3-year high' অর্থাৎ, 'সুইস ব্যাংক: বাংলাদেশের সাথে যুক্ত তহবিল তিন বছরের সর্বোচ্চ'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮৯ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮,৮০০ কোটি টাকা, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগের বছর এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১৭ দশমিক সাত মিলিয়ন ফ্রাঁ। হঠাৎ এই বিশাল বৃদ্ধি বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তাল সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিদেশে সম্পদ স্থানান্তর করেছেন। বিশ্বব্যাংকের ঢাকার সাবেক অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, এখন শুধু সুইস ব্যাংক নয়— দুবাই, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে গোপনে টাকা রাখার সুযোগ বাড়ছে। সুইস ব্যাংকের গোপনীয়তা অনেকটাই কমে এলেও অর্থপাচার আগের মতোই জটিল ও চতুরভাবে চলছে। এক সরকারি সাদা কাগজ অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত যুক্তরাজ্য, কানাডা, আমেরিকা, হংকং, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেন দিয়ে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অবৈধ অর্থ ফেরত আনা প্রায় অসম্ভব, কারণ দুই দেশেই মামলা জিতে প্রমাণ করতে হয় টাকা অবৈধভাবে গেছে। যদিও বাংলাদেশে নতুন সরকার আর্থিক স্বচ্ছতা ও বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা অত্যন্ত কঠিন। ![]() কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম 'বিদেশি ঋণে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে ব্যাংকঋণের সুদহার অনেক বেড়ে যাওয়ায় এখন অনেক ব্যবসায়ী বিদেশি ঋণের দিকে ঝুঁকছেন। দেশে গড়ে ঋণের সুদ ১৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে, যেখানে বিদেশি ঋণের হার আট শতাংশের নিচে। এ কারণে উদ্যোক্তারা তুলনামূলক সস্তা ডলারভিত্তিক ঋণ নিতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে বিদেশি স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রায় ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার বেড়ে ১০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের উচ্চ নীতি সুদহার (১০ শতাংশ) এবং মূল্যস্ফীতির চাপে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদ বাড়িয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নতুন বিনিয়োগ কমে গেছে। এপ্রিল শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র সাত দশমিক ৫০ শতাংশে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুদের হার যৌক্তিক না হলে তারা কিস্তি দিতে পারবে না, ফলে খেলাপির ঝুঁকি বাড়বে। ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়ায় বিদেশি ঋণের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা, গ্যাস সংকট ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না থাকায় নতুন বড় বিনিয়োগ এখনো অনিশ্চিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুদের ভারসাম্য রক্ষা, বাস্তবমুখী মুদ্রানীতি ও সঠিক ঋণ ব্যবস্থাপনা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ![]() নিউ এজের প্রধান শিরোনাম, '31.67pc people in Bangladesh bribe for services: BBS' 'বাংলাদেশে ৩১.৬৭ শতাংশ মানুষ সেবার জন্য ঘুষ দেন: বিবিএস' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ মানুষ সরকারি সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ দেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-তে ৬৩ দশমিক ২৯ শতাংশ মানুষ ঘুষ দিতে বাধ্য হন, আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় এ হার ৬১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে আছে পাসপোর্ট অফিস, যেখানে ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ ঘুষপ্রদান ঘটে। জমি সংক্রান্ত কাজে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন রেজিস্ট্রেশন দপ্তরে ঘুষ দেওয়ার হার ৫৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, পুরুষদের মধ্যে ঘুষদানের অভিজ্ঞতা ৬১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যেখানে নারীদের ক্ষেত্রে ৪১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। রাজনৈতিক মত প্রকাশে কেবল ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ মানুষ নিজেদের স্বাধীন মনে করেন। পুরুষের ক্ষেত্রে মত প্রকাশের হার বেশি হলেও নারীদের মধ্যে এ হার অনেক কম। স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি হাসপাতালে ৮২ দশমিক ৭২ শতাংশ মানুষ সহজেই সেবা পান এবং ৮৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ চিকিৎসাকে সাশ্রয়ী মনে করেন। শিক্ষা ও নাগরিক সেবাও অনেকের কাছে সহজলভ্য হলেও মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। প্রায় ১৯ শতাংশ মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য পরিবারেই ঘটে। এছাড়া, ৮৪ দশমিক ৮১ শতাংশ মানুষ রাতে নিজ এলাকায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। গবেষণায় দুর্নীতি, বৈষম্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ![]() দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, '$3.6b budget support expected by month end'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) শেষের আগেই বাংলাদেশ বিদেশি উৎস থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে তিন দশমিক ৬১৮ বিলিয়ন ডলার পেতে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থে থাকবে আইএমএফ-এর এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি ও জাপানের সহায়তা। এডিবি ইতোমধ্যে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের নীতিনির্ধারিত ঋণ অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংক খাত সংস্কারে ৫০০ মিলিয়ন এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে ৪০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সপ্তাহের মধ্যেই টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি নীতিভিত্তিক ঋণ পর্যালোচনা করছে এবং অনুমোদনের পর দ্রুত অর্থ ছাড় করা হবে। ২৩শে জুন আইএমএফ বোর্ডের বৈঠকে এক দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। একই দিনে এআইআইবি-এর বোর্ড বৈঠকে অংশ নেবে এবং পরদিন বাংলাদেশ ৪০০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন চুক্তি করবে। জাপান ইতোমধ্যে ৪১৮ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা চূড়ান্ত করেছে এবং ওপেক ফান্ড থেকে আরও ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক ৬৪০ মিলিয়ন ডলারের দুটি প্রকল্পে (গ্যাস সরবরাহ ও বায়ুদূষণ কমাতে) সহায়তা দেবে। এডিবি ৪০৪ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিদ্যুৎ ও সড়ক প্রকল্পে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেট ঘাটতি পূরণে এ ধরনের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, অতিরিক্ত ঋণ ভবিষ্যতের ওপর বোঝা হতে পারে। তাই টাকাগুলো যেন উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ![]() সংবাদের প্রধান শিরোনাম, 'রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ইলেকটোরাল কলেজ ব্যবস্থার পক্ষে থাকলেও তারা চায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হোক, যাতে ভোটার নির্বাচনে স্বচ্ছতা থাকে। তারা গোপন ব্যালটে ভোটকেও সমর্থন করেছে। অন্যদিকে বিএনপি এই প্রস্তাবকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেছে। তাদের মতে, ৭০ হাজার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে ভোটার করা জনগণের ভোটাধিকার হরণের একটি কৌশল। তারা চায় সংসদ সদস্যদের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হোক। গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি ও আবুল হাসান রুবেল গোপন ব্যালটে ভোটের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং বলেছেন বেশিরভাগ দল এই প্রস্তাবে একমত। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ জানান, অধিকাংশ দল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদের পক্ষে। তবে এখনো কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি। আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আমার বাংলাদেশ পার্টির মঞ্জু বলেন, আলোচনায় অগ্রগতি নেই, বড় দলগুলো পরিবর্তন না চাইলে কিছুই হবে না। সামগ্রিকভাবে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নতুন পদ্ধতি, সংসদের কাঠামো ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনা চললেও এখনো সব দলের মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। ![]() মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর 'প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না, এক মঞ্চে ইশতেহার পাঠ, যুক্ত হচ্ছে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৫ সালের জন্য আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করেছে। নতুন বিধিমালায় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বিলবোর্ড ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের সুযোগ রাখা হয়েছে। গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যোগ করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মতোই এবার সব প্রার্থীর ইশতেহার এক মঞ্চে পাঠ করার নিয়ম যুক্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে বিদেশি বিনিয়োগ নিষিদ্ধ এবং মাইকে শব্দসীমা ৬০ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রচারের সময় আগের মতো তিন সপ্তাহই থাকবে। প্রার্থীদের যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাপর্ষদে পদ থাকে, তবে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর তা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘনে আগে সর্বোচ্চ জরিমানা ছিল ৫০ হাজার টাকা, এবার তা বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা করা হয়েছে। গুরুতর অপরাধে দুই বছরের বেশি সাজা হলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে, তবে এটি তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। পরিবেশবান্ধব প্রচার সামগ্রী ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা আগামী সপ্তাহে হবে বলে ইসি জানিয়েছে। ![]() বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'বিশ্বে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকের এক-চতুর্থাংশ বাংলাদেশে অবস্থান করছে' প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে রাষ্ট্রবিহীন প্রায় ৪৪ লাখ মানুষের মধ্যে এক চতুর্থাংশের বেশি এখন বাংলাদেশে, যার প্রায় সবাই রোহিঙ্গা। মিয়ানমার তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় তারা রাষ্ট্রবিহীন। বাংলাদেশে কক্সবাজার ও ভাসানচরে বসবাসরত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী। তাদের ভোট, শিক্ষা, চাকরি, চিকিৎসা ও ভ্রমণের অধিকার নেই। ২০১৭ সালে সহিংসতার পর সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা ঢল নামে বাংলাদেশে। বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ ও সহায়তা আসলেও বর্তমানে তা কমে যাচ্ছে, যার ফলে ক্যাম্পগুলোতে শিক্ষা, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার সংকট বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মিয়ানমারে এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ, আর জান্তা সরকারসহ কেউই এই বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। জাতিসংঘ ২০২৫-২৬ সালের জন্য ১৫ লাখ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য সহায়তার পরিকল্পনা নিলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অর্থের ১৫ শতাংশ পাওয়া গেছে। তহবিল সংকটে ইউনিসেফ ও ইউএসএইড অনেক কার্যক্রম বন্ধ করেছে, ফলে হাজার হাজার শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন এবং শিশুদের শিক্ষা হুমকিতে পড়েছে। একই সঙ্গে কাজ ও খাদ্যের অভাবে রোহিঙ্গারা মাদক পাচার, চাঁদাবাজি ও সস্তা শ্রমে যুক্ত হয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন বাস্তবসম্মত সমাধানের জন্য মিয়ানমারকে লাভবান এমন পরিকল্পনা দরকার। এনএইচ/ |