মাদরাসার মুহতামিমকে ধরে নিয়ে বেঁধে নির্যাতন
প্রকাশ:
২০ জুন, ২০২৫, ০৮:৪২ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া নামের একজন মাদরাসার মুহতামিমকে তুচ্ছ কারণে নামাজ থেকে ধরে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের তলের বন হাওড়ের মো. ফারুক মিয়ার ফার্মের দক্ষিণপাড়া বেড়িবাঁধে এই ঘটনা ঘটে। মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানায় ৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে জগন্নাথপুর পৌরপয়েন্টে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ভুক্তভোগী মুহতামিম মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া (৪৫) উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের মহিষাকোনা গ্রামের মৃত আবলুছ উল্ল্যাহর পুত্র। অভিযুক্তরা হলেন- মহিষাকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র ছিদ্দেক আলী, ছিদ্দেক আলীর পুত্র মামুন সিদ্দিকি, আব্দুল আহাদের পুত্র কামরুল ইসলাম, মৃত পাইনা মিয়ার পুত্র নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আহাদের পুত্র জুনায়েদ আহমদ। মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে পালিত গরু রাস্তায় বেঁধে নামাজ পড়ছিলেন শরীফ উদ্দিন জিয়া। এ সময় বর্ণিত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে বাম পায়ে রামদা দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার সময় কিল-ঘুসিসহ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় ওই মুহতামিমের পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া বলেন, বিগত প্রায় ২ মাস পূর্বে তারা মাদরাসায় এসে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ওপর নির্যাতন চালায়। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা জানান, তারা অভিযোগ পেয়েছেন। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এনএইচ/ |