দৈনিক ইত্তেফাক আজকের সংখ্যায় প্রধান শিরোনাম করেছে: “আত্মসমর্পণ করবে না ইরান, যুদ্ধে জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র”

এই শিরোনাম শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বরাজনীতির স্পর্শকাতর বাস্তবতাকে তুলে ধরছে। এখানে একদিকে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী ভঙ্গি, অন্যদিকে ইরানের অনড় আত্মমর্যাদাবোধ।

"আত্মসমর্পণ করবে না ইরান" — এ অংশে প্রতিফলিত হয়েছে ইরানের কঠোর বার্তা ও আত্মরক্ষার সংকল্প। পশ্চিমা প্রভাবের মুখে নতি স্বীকার না করার নীতিগত অবস্থান এখানে স্পষ্ট। "যুদ্ধে জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র" — এই অংশটি একটি আশঙ্কার প্রতিফলন। বিশ্বব্যবস্থায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের ইতিহাস, এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভূ-রাজনৈতিক আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে। এই শিরোনাম কেবল আন্তর্জাতিক রাজনীতির কথা বলছে না, বরং বাংলাদেশের মতো আমদানি-নির্ভর দেশে এর জ্বালানি নিরাপত্তা, পণ্যের দাম ও সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর সম্ভাব্য প্রভাবও ইঙ্গিত করে। বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বাড়লে গ্যাস, তেলসহ জ্বালানির দাম বেড়ে যাবে, যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়ও।

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, 'লন্ডন বৈঠক জামায়াত কেন অতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের আলোচিত বৈঠকের পর দেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি ও নবগঠিত নাগরিক পার্টির প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত হলেও জামায়াত কেন এতটা ক্ষুব্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত সরকার ও প্রশাসনের ভেতরে প্রভাব রাখলেও, বিএনপি-সরকার সমঝোতার আভাসে তারা নিজেদের অবহেলিত ভাবছে।

বিশেষ করে তারা মনে করছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে ড. ইউনূস নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন এবং বিএনপি জামায়াতকে বাদ দিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করছে।

একসময় জামায়াত সেনাবাহিনীর বক্তব্যে আলোচনায় এসেছিল এবং রাজনৈতিক মাঠে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল।

কিন্তু এবার বিএনপির দিক থেকে কোনও ফলোআপ না পেয়ে তারা হতাশ হয়েছে। ডা. শফিকুর রহমানের মত নেতাও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

আগে যেভাবে বিএনপি জামায়াতকে জায়গা দিয়েছিল, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনাও হয়েছিল।

এখন জামায়াতের অতিপ্রতিক্রিয়ায় তারা রাজনৈতিকভাবে আরও পেছনে পড়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, লন্ডন বৈঠকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে এটা স্বৈরাচারী প্রবণতার বিরুদ্ধে একটি প্রতীকী পদক্ষেপ।

যেহেতু রাজনীতির বল রাজনীতিকদের কোর্টেই, তাই তাদেরকেই দায়িত্বশীলভাবে এগোতে হবে। না হলে সামনে আরও অনিশ্চয়তা ও হতাশা অপেক্ষা করছে।

 

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, 'No consensus on constitutional council, president election' 'সাংবিধানিক পরিষদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ঐক্যমত্য হয়নি'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের চতুর্থ দিনের বৈঠক বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নবগঠিত নাগরিক পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

তবে সংবিধান কাউন্সিল গঠন এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে মতভেদ থাকায় বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই মুলতবি হয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশন একটি নয় সদস্যের সংবিধান কাউন্সিল প্রস্তাব করেছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং সংসদের বাইরে থেকে একজন সাংসদ অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

এই কাউন্সিল নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, সশস্ত্র বাহিনী প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সুপারিশ করবে।

বিএনপি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এতে গণতান্ত্রিক শাসনের ঝুঁকি বাড়বে। জামায়াত, নাগরিক পার্টি ও কিছু দল শর্তসাপেক্ষে কাউন্সিলের পক্ষে মত দিলেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও মতভেদ দেখা যায়। কমিশনের প্রস্তাবে সংসদ, সিনেট, জেলা ও সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি নিয়ে ৫৭০ ভোটবিশিষ্ট একটি ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের কথা বলা হয়।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইসরায়েল ইরানের ৪০টি স্থানে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও একটি পারমাণবিক স্থাপনাও রয়েছে।

পাল্টা জবাবে ইরান হাইপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও শহরে হামলা চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত ইরান প্রায় ৪০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যাতে বহু অবকাঠামো ও যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।

এই সংঘাতের মাঝে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়াতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য ও পদক্ষেপে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা করতে পারে।

তবে এ নিয়ে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন বলে একটি মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে।

এই হামলায় দেশটির বেশ কিছু পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক সদর দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান, রণতরি ও হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত বাড়লে তা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। পরিস্থিতি এখন এক জটিল ও বিস্ফোরক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে।

পত্রিকা

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'বিপজ্জনক আগামী ২৪ ঘণ্টা'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ভয়াবহ লড়াই চরমে উঠেছে। সংঘাতের ষষ্ঠ দিনে ইরান প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র 'ফাত্তাহ' দিয়ে ইসরায়েল আক্রমণ করে, যা তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে সফলভাবে পৌঁছায়।

ইরান দাবি করেছে, তারা এখন ইসরায়েলের আকাশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। পাল্টা হামলায় ইসরায়েল তেহরানের পাশে পায়াম বিমানবন্দরসহ অনেক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে দুটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্রও ছিল।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সদর দপ্তরসহ ১১শ'র বেশি স্থানে হামলা চালিয়েছে।

হামলায় ইরানের ৫৮৫ জন নিহত হয়েছে বলে একটি মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে। তবে ইরান সরকার বলছে নিহতের সংখ্যা ২২৪।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী একটি ইরানি ড্রোন গোলান মালভূমিতে ভূপাতিত করেছে। এদিকে, ইসরায়েল এখন ধাপে ধাপে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ইরানের আক্রমণ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের আকাশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে এবং খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

ইরান এই দাবি ও হুমকিকে মিথ্যা ও কাপুরুষোচিত বলে নাকচ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ যে কোনো সময় আরও বিস্তৃত হতে পারে।

পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, 'নত হবে না ইরান'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরান ও ইসরায়েলের যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তার দেশ কারো চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ বা শান্তি মেনে নেবে না এবং কখনো আত্মসমর্পণ করবে না।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হুমকিকে 'অপূরণীয় পরিণতির' হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং মোসাদের একটি গোপন ড্রোন কারখানাও ধ্বংস করেছে।

ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ইরানের সেন্ট্রিফিউজ ও অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে খবর মিলেছে। আমেরিকার দূতাবাস নিরাপত্তার কারণে তেলআবিব ও জেরুসালেমে বন্ধ রয়েছে।

ইরান ও ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলায় অনেক হতাহত হচ্ছে—ইরানের দাবি অনুযায়ী তারা ৫টি ইসরায়েলি বিমান ও বহু ড্রোন ভূপাতিত করেছে, আর ইসরায়েলের তথ্য মতে ইরান ছুড়েছে ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র এবং বহু ড্রোন।

এদিকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে যাতে তারা ইসরায়েলকে সরাসরি সামরিক সহায়তা না দেয়। ইরানের সেনাবাহিনী একটি ইসরায়েলি ড্রোনও ভূপাতিত করেছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ দিকে এগোচ্ছে।

পত্রিকা

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'কমছে আয় বাড়ছে দায়'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমান অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় আশানুরূপ না হওয়ায় বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ১১ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রায় এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় করেছে।

ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, বিনিয়োগে ভাটা, আমদানি কমে যাওয়া ও আইনি অস্থিরতার কারণে আয় অনেক কমেছে। অথচ সরকারের ব্যয় বাড়ছে, যার ফলে ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে।

এখন পর্যন্ত সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ লাখ কোটি টাকা।

এনবিআর নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। নির্ধারিত আদায়ের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনলেও তাও পূরণ সম্ভব হয়নি।

ফলে সরকারকে ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও বিদেশি উৎস থেকে ধার নিতে হচ্ছে, যা সুদসহ ফেরত দিতে হচ্ছে। এতে রাজস্ব ঘাটতির সঙ্গে বাড়ছে ঋণ ও দায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা চলতে থাকলে সরকার ঋণচক্রে পড়বে এবং ভবিষ্যৎ বাজেট বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা, সুশাসন, আয়কর ও ভ্যাট আদায়ে কার্যকর উদ্যোগ, প্রযুক্তিনির্ভর কর ব্যবস্থাপনা এবং করদাতাদের সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেছেন অর্থনীতিবিদরা।

অন্যদিকে, এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সংকট ও ব্যবস্থাপনা দুর্বলতাও বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পত্রিকা

সমকালের প্রথম পাতার খবর 'ইশরাকের 'মেয়র আন্দোলনে' ভুগছে সোয়া কোটি নাগরিক'।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ইশরাক হোসেনের আন্দোলনের কারণে ৩৫ দিন ধরে সিটি করপোরেশনের সব কাজ বন্ধ রয়েছে।

ফলে প্রায় সোয়া কোটি নাগরিক নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্জ্য নিষ্কাশন, মশক নিধন, সড়কবাতি সংযোজনসহ জরুরি পরিষেবা থমকে গেছে।

মশা নিধনের ওষুধ না দেওয়ার কারণে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে এবং রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন, ইশরাক সেবা বিঘ্নিত করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন, কিন্তু ইশরাক পাল্টা অভিযোগ করে বলছেন সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

নগর ভবনে ইশরাক ও তার সমর্থকরা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ফলে কর্মচারীরা কাজ করতে পারছেন না। নাগরিকরা হোল্ডিং ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যুর সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন না, যা তাদের জীবনযাত্রায় বড় অসুবিধা তৈরি করেছে।

ইশরাক নিজেকে 'নির্বাচিত মেয়র' দাবি করে বৈঠক করছে এবং মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে।

তবে আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে তার মেয়র পদ গ্রহণ বৈধ নয়, কারণ নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং আদালতের রায়ও আর সময়সীমার মধ্যে নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবৈধ অবস্থানের কারণে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে। সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

পত্রিকা

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, 'ঢাকার ১৫% বাড়িতে এডিসের লার্ভা'

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য বিপজ্জনক।

এই বাড়িগুলোর ২২ শতাংশ লার্ভা সিমেন্টের পানির ট্যাঙ্কে রয়েছে। ঢাকার ১৩টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি।

ঢাকার বাইরে আটটি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ৩২টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ, এর মধ্যে মাগুরা পৌরসভায় সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা দেখা গেছে। ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি হলে এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

সরকারি আইইডিসিআরের প্রাক-বর্ষা জরিপে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি বরিশাল বিভাগ থেকে।

ঢাকায় ভর্তি হয়েছে ২৪ শতাংশ রোগী। ঢাকার বাসাবাড়িতে লার্ভা পাওয়া যায় মূলত বহুতল ভবন ও পানির ট্যাঙ্ক, জমে থাকা পানি, প্লাস্টিকের ড্রাম ও বালতিতে।

এইবারের জরিপে ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে সেখানে নোনা পানির সমস্যা ও খোলা পানির সংরক্ষণ বলা হয়েছে, যা মশা জন্মানোর সুযোগ তৈরি করে।

বিশেষজ্ঞরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত সাত বছরে বাংলাদেশ সরকার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে।

২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি শুরু হলেও, দেশের মোট গ্যাস সরবরাহের মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ এলএনজি দিয়ে আসে।

স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে দুই দশকে মাত্র আট হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা খুবই কম।

এই সীমিত বিনিয়োগের কারণে গ্যাস মজুদ বৃদ্ধির কোনো বড় অগ্রগতি হয়নি এবং সরবরাহ সংকট কমেনি।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ও জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় এলএনজির দামও বাড়ছে, যা জ্বালানি নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমিয়ে স্থানীয় গ্যাস খাতে বড় বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার।

সরকারও গ্যাস খাত উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে এবং এলএনজি আমদানি উৎস বৈচিত্র্য করতে চেষ্টা করছে। গত দুই দশকে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি গ্যাস কোম্পানি মাত্র ৫৯টি গ্যাস কূপ খনন করেছে, যার অর্ধেকেই গ্যাস পাওয়া গেছে।

এলএনজি আমদানির প্রায় ১০ শতাংশ অর্থ যদি স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করা হত, তবে গ্যাস মজুদের বিষয়ে ভালো ধারণা পাওয়া যেত।

স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়াতে এবং বিদেশী কোম্পানিকে টেনে আনতে আরও কাজ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সামগ্রিকভাবে, দেশে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও জ্বালানি নিরাপত্তায় বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।