আকাশে প্রতিরক্ষা–মাটিতে প্রাণরক্ষা: ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রযুক্তি
প্রকাশ:
১৮ জুন, ২০২৫, ১২:২০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
।।মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।। বিশ্বের আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম বিস্ময় "আয়রন ডোম" (Iron Dome)। এটি ইসরায়েলের তৈরি একটি অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার লক্ষ্য–শত্রুর ছোড়া রকেট, মর্টার, ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া। যুদ্ধক্ষেত্রে নিরীহ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এটি আজ বিশ্বের অন্যতম আলোচিত প্রযুক্তি। কীভাবে কাজ করে আয়রন ডোম? আয়রন ডোম মূলত তিনটি অংশে কাজ করে: রাডার সিস্টেম: ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে শত্রুর রকেট শনাক্ত করে। ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (BMC): লক্ষ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয় কোনটা গুলি করে ধ্বংস করা হবে। ইন্টারসেপ্টর লঞ্চার: সঙ্গে সঙ্গে ছুড়ে দেয় Tamir ইন্টারসেপ্টর মিসাইল, যা মাঝ আকাশেই শত্রুর রকেট ধ্বংস করে। উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য: সফলতা হার ৯০%+ পরীক্ষিত ও বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর, প্রতিটি হুমকির বিরুদ্ধে মাত্র সেকেন্ডের মধ্যে ব্যবস্থা, যদি রকেট জনবসতি লক্ষ্য করে না আসে, তাহলে সেটিকে এড়িয়ে যায় (ব্যয় বাঁচাতে)। আয়রন ডোম দিনরাত, যেকোনো আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম। কোন ধরনের হুমকি ঠেকাতে পারে? রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার শেল, কম উচ্চতার ড্রোন, অপ্রত্যাশিত সীমান্ত হামলা ইত্যাদি ঠেকাতে পারে আয়রন ডোম। বাস্তব ব্যবহার২০১১ সালে প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হওয়ার পর, আয়রন ডোম এখন পর্যন্ত হাজার হাজার শত্রু রকেট আকাশেই ধ্বংস করেছে, বিশেষ করে হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর ছোড়া গোলা থেকে ইসরায়েলি জনবসতি রক্ষা করেছে। এটি ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে মোতায়েন রয়েছে। আন্তর্জাতিক আগ্রহ এর কার্যকারিতা দেখে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া সহ অনেক দেশ এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। কিছু দেশ ইতিমধ্যে এটি কিনেও নিয়েছে বা যৌথভাবে তৈরি করছে। আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে আয়রন ডোম শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, বরং এটি এক মানবিক ঢাল। যেখানে প্রতিটি ইন্টারসেপ্ট মানে শত প্রাণের নিরাপত্তা। যুদ্ধ প্রতিরোধ নয়, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কমানোতেই আজ এর সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। এনএইচ/ |