অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে ইসলামী আন্দোলনের ঐকমত্য, কয়েকটিতে দ্বিমত
প্রকাশ:
০৭ মে, ২০২৫, ০৮:০৩ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংস্কার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার আলোকে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে সেই সংলাপে। বুধবার (৭ মে) বিকেলে এই সংলাপে মোট ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাথে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একমত হয়েছে। কিছু বিষয়ে দ্বিমত জানানো হয়েছে এবং কিছু বিষয়ে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংবিধান সংস্কারে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে- ১. সংবিধানের মূলনীতিতে প্রস্তাবিত বহুত্ত্ববাদ বাদ দিয়ে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার নিয়ে যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে- ১. স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিজস্ব জনবল এবং আর্থিক স্বাধীনতা থাকতে হবে। বিচার বিভাগ সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে- ১. বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে কার্যকরভাবে স্বাধীন থাকবে। বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় থাকবে। জনপ্রশাসন সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে- ১. অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-১৯২৩ বাতিল করতে হবে। উপনিবেশিক আমলের এই আইন সাধারণ নাগরিকদের জন্য অমর্যাদাকর। দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে- ১. দুদককে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। সংলাপে ইসলামী আন্দোলন পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, প্রচার সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফেজ মাওলানা হাসিবুর রহমান এবং দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে নেতুত্ব দেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বদিউল আলম মজুমদার, ডক্টর ইফতেখারুজ্জামানসহ কমিশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এমএইচ/ |