
| 	
        
			
							
			
			  মাদরাসা ও ইসলামি দল না থাকলে এদেশের মুসলমানদের অবস্থাও হতো ভারতের মতো  
			
			
	
			
										প্রকাশ:
										০৪ মে, ২০২৫,  ১১:০৬ দুপুর
					 
			
			
			
			নিউজ ডেস্ক  | 
		
			
			
			
			
			 
	   
	      
 ইফতেখার জামিল বাংলাদেশে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ মসজিদ-মাদরাসা না থাকতো, ইসলামি দলগুলো না থাকতো, তবে আমাদের অবস্থা হতো ভারতের মুসলমানদের মতোই। এনজিও-সুশীলরা নিজেদের মতটা মানতে বাধ্য করত। আপনাদের মনে থাকার কথা, দুই হাজার এক সালে আলেমদের মতামত নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টে রুল জারি করা হয়। প্রতিবাদ জানালে দেশের প্রায় সব শীর্ষ আলেমকে আটক করা হয়, হত্যা করা হয় ছয়জনকে। হাসিনার আমলের কথাও আপনাদেরকে মনে করিয়ে দেই—এগারো সালে নারীনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে চারজন মাদরাসার ছাত্রকে মেরে ফেলা হয়। মুফতি আমিনীর ছেলেকে গুম করা হয়, মুফতি আমিনীকে আমৃত্যু গৃহবন্দী করে রাখা হয়। গ্রেফতার করা হয় অনেককে। নারী কমিশনের লোকজন কি এসব ট্রমার কথা জানেন না? জানেন, কিন্তু তারা আগের মতোই ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মতামতকে গুনতে চান না। তবে রাষ্ট্রের বাইরে গিয়ে মাদরাসা চালানোটাও কি খুব সহজ কাজ? গত সপ্তাহে এক মাদরাসায় গেলাম, তারা কয়েক হাজার ছাত্রকে ফ্রি খানা দেন। রাতের বেলা শুধু মুরগি মিশ্রিত ডাল-ভাত, এগুলো খেয়েই তারা রাত পার করে দেবেন। কুরবানিটা ধরতে পারছেন? পরিচালকরা অনেকেই বিলাসী জীবনযাপন করেন, তবে সবাই এক নয়। ঢাকার একটা মাদরাসার পরিচালকের কথা জানি—নাম বললে চিনে ফেলবেন—তিনি পরিবার চালান বিশ হাজার টাকায়, পাশাপাশি এক-দেড়শো ছাত্রের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে রেখেছেন। অনুদান যে আসে না, তা নয়—তবে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। মাঝেমাঝেই ঋণ করতে হয়। হাসিনার আমলে তিনি প্রায় দুই বছরের মতো জেলে ছিলেন। এত কষ্ট করে যারা পড়াশোনা করেন, মাদরাসা পরিচালনা করেন—তাদের কী ‘ঠেকা পড়েছে’ তারা আপনাদের রুচি মেনে পলিটিক্যাল কারেক্টনেস বজায় রাখবেন? আপনারা শহরে মাদরাসার লোকজন দেখলে হয়তো এখন আর অবাক হন না, তবে এদের প্রত্যেকের পেছনে অনেকের কুরবানি আছে। ছাত্রদের যত্ন করে না, এমন মাদরাসা/পরিচালকের সংখ্যা মোটেই কম নয়, তবে অসংখ্য ছাত্র ফ্রি থাকতে পারছে, খেতে পারছে, শিক্ষাঅর্জন করতে পারছে—পুঁজিবাদের দৃষ্টিতে এসব কুরবানিকে প্রায় অকল্পনীয়ই বলা যায়। কঠিন জীবনযাপনের প্রেক্ষিতে মাদরাসা সমাজের ভাষা ও ব্যবহার সবসময় শক্তই হবে—মিনমিন করলে তারা বাংলাদেশে টিকতে পারবেন না। আপনাদের যদি এত ‘উদার মনোভাবই’ থাকতো, তবে ইসলাম সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় পাঁচটা শক্তিশালী এজেন্সি থাকতো, ফতোয়া বিভাগ থাকতো, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশালাইজড ইনস্টিটিউট থাকতো : আপনারা ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করতেন—আপনারা এসব কিছুই গড়ে তুলতে পারেননি। এই ব্যর্থতার ফলাফলটাও ভোগ করতে হবে। লেখক: গবেষক ও অ্যাকটিভিস্ট এনএইচ/  |