চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে (কেন্দ্র কোড: ৩৩৬) পরীক্ষার্থীদের পরন থেকে হিজাব, ওরনা ও বোরকা খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
রোববার (৩০ জুন) খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, আজ এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন একজন পরিদর্শক মুকসুদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিদর্শনে আসেন এবং পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে তিনি হিজাব ও বোরকা আবৃত মেয়েদের গা থেকে বোরকা-হিজাব খুলে ফেলেন এবং তাদের কটুকথা শোনান। আগামী পরীক্ষাগুলোতে যেন তারা কোনো ধরনের বোরকা-হিজাব বা বড় ওড়না জড়িয়ে না আসে বরং চেহারা, চুল খোলা থাকে, এমন পোশাক পরিধান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এতে পরীক্ষার্থীরা ভীতসন্ত্রস্ত ও মর্মাহত হয়ে পড়ে।’
পরীক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং কোনোভাবেই কাম্য নয় জানিয়ে জাতীয় মসজিদের খতিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ, এদেশের মানুষ ধর্মভীরু, ইসলামের প্রতিটি আহকামের ব্যাপারে যত্নশীল। আবহমান কাল থেকে মেয়েরা বোরকা-হিজাব পরিধান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে; কখনো কোনো সমস্যা হয় নাই। কিন্তু হঠাৎ করে হজরত ছদর ছাহেব রহ. ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর সরকারি কলেজ সেন্টারে কেন এমন ঘটনা ঘটানো হলো, এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এরা ইসলামের অলঙ্ঘনীয় বিধান পর্দার সাথে কটাক্ষ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পরীক্ষা চলাকালীন দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় কি না এবিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের গভীর নজর রাখতে হবে।’
বিবৃতিতে তিনি আগামী পরীক্ষাগুলো যেন পরীক্ষার্থীরা ইসলামের অলঙ্ঘনীয় বিধান পর্দার বিধান মেনে বোরকা-হিজাব পরিধান করে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় সে ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘বোরকা-হিজাব পরিহিত পরীক্ষার্থীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হলে যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।’
হাআমা/