‘ছুটিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দ্বীনমুখী করতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে’
প্রকাশ:
২৬ মে, ২০২৩, ০৫:০৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
নুরুদ্দীন তাসলিম।। দেশের মূল ধারার ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে সাধারণ বিদ্যালয়গুলোকে পড়াশোনা করেন প্রায় ৯০ ভাগ বা এরথেকেও বেশি মুসলিম শিক্ষার্থী। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় সাক্ষরতা রাখলেও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী মূল্যবোধের যেই শিক্ষা দেওয়া হয় এই শিক্ষার্থীরা সে বিষয়ে একেবারেই পিছিয়ে। বলতে গেলে প্রয়োজনীয় দ্বীনি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তারা। পারিবারিক ও নিজস্ব প্রচেষ্টায় কেউ কেউ কোরআন শরিফসহ কিছু মাসায়েল সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানলেও প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেই তাদের জানা শোনা। তাই জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামী বিষয়াদিতে ত্রুটি থেকে যায় অনেক ক্ষেত্রে। বিপুল সংখ্যক মুসলিম শিক্ষার্থীর দ্বীনি শিক্ষার অভাব দূর করতে ইতোমধ্যে সময়ে সময়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের একত্র করে দ্বীনের গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করা, ছুটির সময়ে সংক্ষিপ্ত কোর্সের ব্যবস্থা করা, নৈশ মাদরাসা ও বছরব্যাপী খণ্ডকালীন (সপ্তাহের যে কোনো ২/৩ দিন ২/৩ ঘণ্টার) দ্বীনি শিক্ষার কোর্স চালু করতে দেখা যাচ্ছে উলামায়ে কেরামকে। তবে এই উদ্যোগগুলোর প্রায় সব ক’টিই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এর বিস্তৃতিও ঘটেনি সেভাবে। রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত দারুর রাশাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ সালমান বলেছেন, কোরআন শিক্ষার বিভিন্ন কোর্স, দীনিয়াত কোর্সেগুলোতে তারা সময় লাগাতে পারেন। তাছাড়া তাবলিগে চিল্লা, দশ দিন, সাত দিন, তিন দিন অথবা ২৪ ঘন্টা এমন সময় দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের দ্বীনমুখী করতে বিভিন্ন মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী কোর্সের আয়োজনের বিষয়েও চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন তিনি। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী জ্ঞানের যে কমতি রয়েছে দ্বীনি পরিবেশে সময় কাটানোর মাধ্যমে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব; তাই শিক্ষার্থীদের ছুটির সময় নিয়ে অভিভাবকদেরও চিন্তা ভাবনা করা ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন চিন্তাবিদ আলেমগণ। কেএল/ |